শনিবার গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ ঠাকুর সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি জানিয়েছেন, এপ্রিল মাস জুড়ে গোটা রাজ্যে ৩০০’র বেশি সম্মেলন করবে কংগ্রেস। বিজেপির অপশাসনের আসল ছবি তুলে ধরা হবে সম্মেলনগুলির মাধ্যমে। গুজরাটের ২৫১টি ব্লক বা তলুক, ৩৩টি জেলা এবং রাজ্যের ৮টি মেট্রো শহরেই এই প্রচার কর্মসূচি চলবে। তিনি রাহুল গান্ধীকে অনুরোধ করেন এই প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিতে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, ২০ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ফের একবার গুজরাটে পা রাখতে পারেন রাহুল। কংগ্রেস শিবিরের অনুমান, গুজরাটের মাটি থেকেই নরেন্দ্র মোদীকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চলেছেন রাহুল।
কংগ্রেস যখন পাল্টা লড়াই ফিরিয়ে দিতে চাইছে, তখনই নরেন্দ্র মোদীর দাবি, কিছু মানুষ তাঁর ভাবমূর্তি ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এদেশের পাশাপাশি বিদেশিদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি ‘খুনের’ জন্য ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছে। এদিন ভোপাল দিল্লি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মোদী বলেন, আগের সরকারগুলি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করত। আমি সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি। তাঁদের কথা ভাবি। তাই আমায় আক্রমণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ শেষবার গুজরাটে পা রেখেছিলেন রাহুল। সুরাট আদালতে ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া একটি মানহানির মামলার শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন রাহুল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাঁর ২বছরের কারাদন্ডের আদেশ হয়। জামিন পাওয়ায় রাহুলের জেলযাত্রা স্থগিত থাকলেও, আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে তাঁর সাংসদ পদ কেড়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনাকে ঘিরে সারাদেশে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। তারমধ্যেই দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ফের গুজরাটে যাচ্ছেন রাহুল।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের তরফে ইঙ্গিত, এপ্রিলের কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে সর্বাত্মক আক্রমণ করা হবে। জগদীশ ঠাকুর জানিয়েছেন, পুলিশি অনুমতির পরোয়া না করেই নিজেদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপির আমলে গুজরাটের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। বিজেপি ‘খুল্লমখুল্লা’ সমাজবিরোধীদের ব্যবহার করছে রাজনৈতিক স্বার্থে। তারফলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই।
Comments :0