বেহালার বাবু নতুন একটা চাকরিতে জয়েন করেছে। গত তিন বছরের মধ্যে এটা ওর চার নম্বর চাকরি। প্রথমে ছিল সেলসের কাজ, দোকানে দোকানে ঘুরতে হতো সারাদিন। ধরা বাঁধা মাস মাইনে ছিল না, যত মাল বেচতে পারবে সেই মতো কমিশন সিস্টেম। কোনও মাসে ছয়-সাড়ে ছয়, কোনও মাসে হাজার সাতেক। লকডাউনের ধাক্কায় সে কাজটা গিয়েছিল। কয়েক মাস বেকার থাকার পর জুটেছিল আরেকটা কাজ, সেটা একটা বেসরকারি বিমা কোম্পানিতে। সেখানেও দিনে প্রায় চোদ্দ ঘণ্টা খাটুনি, মাসে সাত হাজার। মেরেকেটে তিন মাস মতো ছিল সে চাকরি, সেটাও হারালো একদিন। তারপর সে ঢুকেছিল আরেকটি কোম্পানিতে, অ্যাকাউন্টসের কাজে। এই নভেম্বরে সেখান থেকেও ছাঁটাই। তিন বছরে তিনবার ছাঁটাইয়ের পর চার নম্বর চাকরিতে জয়েন করেছে সে। তবে এটাও যে কতদিন থাকবে, বলা মুশকিল।
বাবু একা নয়। বেহালা থেকে বেলগাছিয়া— ছড়িয়ে রয়েছে এরকম লক্ষ ছেলেমেয়ে। কারো কোনও স্থায়ী কাজ নেই। কাজের ঘণ্টার বাপ-মা নেই। বেধড়ক্কা খাটুনি, মজুরি যৎসামান্য। আর হবে নাই বা কেন? বাজারে কত বেকার বলুন তো! সরকারি অফিস, কাছারি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, ফায়ারব্রিগেড, রেল, ব্যাঙ্ক, বিমায়, এখানে ওখানে কত পদ ফাঁকা! নিয়োগ নেই। চাকরি নেই। গ্রামে গঞ্জে পাড়ায় পাড়ায় পিলপিল করছে বেকার ছেলেমেয়েরা। এদেরকে দিয়ে যত কম মজুরিতে সম্ভব খাটিয়ে নেওয়াই যায়।
একটা ঘটনার কথা বলি! নতুন যে কাজটায় ঢুকেছে বাবু সেইখানে মালিক বলেছে, দিনে ৯ ঘণ্টা ডিউটি, ছুটিছাটা নেই, মাসে ৮ হাজার দেব।’’ তোতলাতে তোতলাতে বাবু মালিককে শুধিয়েছিল, ‘‘এত কম মাইনেতে এতটা খাটুনি কি পোষাবে? বলুন?’’ হাত নেড়ে মালিকটি বলেছে, ‘‘না পোষালে ফুটে যাও। বাইরে কত লোকে কাজ খুঁজছে, জানো? ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হবে না আমাদের!’’ গল্পটা হলো এই!
ওখানে মোদী, এখানে দিদির আমলে এত যে বেকারত্ব বেড়েছে বাজারে, এইটাই মালিকপক্ষের সামনে হাজির করেছে সুবর্ণ সুযোগ। কম মজুরিতে বেশি খাটিয়ে নেওয়ার। আরও, আরও, আরও বেশি মুনাফা লোটার। পরিস্থিতিটা এরকম বলেই অভাবী মানুষও বাধ্য হচ্ছেন যেমন তেমন কাজে ঢুকে যেতে।
কেউ সেলসে, কেউ শপিং মলে, কেউ কোনও নার্সিংহোমে, কল সেন্টারে, ক্যাফেতে, রেস্টুরেন্টে, কেউ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে, কেউ ট্রান্সপোর্ট লাইনে বা অন্য কোথাও। শহরের বেকার তরুণরা দলে দলে ভিড়ে যাচ্ছে সুইগি, জোমাটো, ব্লিংকিট, ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো ডেলিভারি চেইনে।
যেমন প্রশান্ত, মানিকতলার। বেঙ্গল কেমিক্যালসের ঠিকা শ্রমিক ছিল সে, ছাঁটাই হয়েছে। এখন সুইগির জামা পরে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছায়। নিজেরই অভিজ্ঞতায় বুঝেছে, এ এক অন্য লেভেলের শোষণের জাঁতাকল। এমনকি, ‘শ্রমিক’-এর স্বীকৃতিটুকু যেখানে মেলে না। কোম্পানি ডাকে ‘পার্টনার’ নামে; আর যেহেতু ‘পার্টনার’ তাই ব্যবসায় ইনভেস্টও করতে হয় তাকে।
বাইক, বাইকের তেল, মোবিল, মেনটেনেন্স, মোবাইল রিচার্জ সবই তার খরচা। সাথে হাড় ভাঙা খাটুনি। সব খরচখরচার টাকা দিয়ে, যেটুকু ইনকাম, তাতে পড়তায় পোষায় না। এরও উপরে আছে একতরফা আইডি ব্লকিংয়ের সমস্যা। অর্থাৎ কাস্টমার খারাপ রেটিং দিলে কোম্পানি তৎক্ষণাৎ আইডি ব্লক করে দেয়, তখন কাজ বন্ধ। এও আদতে ছাঁটাই। তাছাড়া সময়ে খাবার পৌঁছতে গিয়ে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে দেখার কেউ নেই। না কোম্পানি, না সরকার— ক্ষতিপূরণ দেয় না কেউই।
এই রকমই নানান রকম কাজ, নানান রকম শোষণ। যেমন কাজই হোক না কেন, যা মাইনে মিলবে তাতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এই দুর্মূল্যের বাজারে তো নয়ই। ফলে একজন শ্রমজীবী মানুষকে এখন একদিনে দুটো, এমনকি তিনটে আয়ের রাস্তা খুঁজতে হচ্ছে।
দিনে কর্পোরেশনের হেলথ সেন্টারে অস্থায়ী শ্রমিক সন্ধেবেলা পাড়ার মোড়ে রোল-চাউমিনের দোকান দিচ্ছেন। দিনের বেলা ফুটপাতে হকারি করছেন, রাতে কোনও বিল্ডিংয়ের বাইরে টুলে বসে পড়ছেন সিকিউরিটি গার্ডের পোশাকে। সকালে কোনও বেসরকারি অফিসে যাচ্ছেন, সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার সময় কোনও অ্যাপে লগ-ইন করে তিন চার ট্রিপ বাইক চালিয়ে নিচ্ছেন। সারাদিন হয়তো এর-ওর-তার বাড়িতে ফাইফরমাশ খেটে দিচ্ছেন, সন্ধেবেলা অটো চালাচ্ছেন কয়েক ঘণ্টা, তারই সাথে হয়তো জমি বাড়ির দালালিও করছেন। এক কথায়- খুঁটে খাচ্ছেন।
কাজের কোনও নিরাপত্তা নেই। আজ আছে, কাল থাকবে কিনা বলা মুশকিল। বাজারে যত রকমের কাজ আছে এখন, সবই করানো হচ্ছে অস্থায়ী শ্রমিকদের দিয়ে। ঠিকা এজেন্সিগুলি সিকিউরিটি গার্ড থেকে লিফটম্যান, হাউস কিপিংয়ের লোক, ক্যান্টিন কর্মী, ক্লার্ক, এমনকি ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েট, টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ারও সরবরাহ করছে।
পদ অনুযায়ী কারো মাইনে ৩-৬ হাজার, কারো ৬-৯ মতো। অল্প কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সামান্য বেশি। তবে যতই হোক না কেন, সেই একই কাজ একজন স্থায়ী কর্মীকে দিয়ে করালে যত দিতে হত, তার অর্ধেকেরও অনেক কম তো বটেই।
শুধু বেসরকারি কোম্পানিগুলিই নয়, আজ সরকারি সংস্থাগুলিরও প্রায় সব ধরনের কাজই করানো হচ্ছে অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে। আজকের তারিখে শুধু কলকাতা কর্পোরেশনেই প্রায় ১৫০০০ অস্থায়ী ও একশো দিনের কর্মী কর্মরত। অস্থায়ী কর্মীদের কেউ ঠিকা কোম্পানির অধীন, কেউবা সরাসরি কর্পোরেশনের অধীন ক্যাজুয়াল শ্রমিক।
কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের ক্যাজুয়াল কর্মীরা কাজ করছেন গত ১৫-১৬ বছর ধরে। এখনও স্থায়ী করা গেল না তাঁদের? অথচ এই বিভাগেই তো গাদা গাদা পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। স্থায়ীকরণ তো ছেড়েই দিন, মাসিক কোনও নির্দিষ্ট বেতনও নেই এঁদের। দৈনিক রোজের হিসাবে আয়। ‘নো ওয়ার্ক নো পে’। কর্পোরেশনের ক্যালেন্ডারে লাল কালি দেওয়া ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়। ছুটি তো মেলেই না, এমনকি, ছুটির দিনের মাইনেও জোটে না বছরের পর বছর।
স্বাস্থ্য বিভাগের মতোই ড্রেনেজ, কনজারভেন্সি কিংবা কর্পোরেশনের ওয়ার্কশপ— সব বিভাগেই হাজার হাজার ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করছেন; কেউ ১০ বছর, কেউ ১৫ বা তারও বেশি। কর্পোরেশনের বাইরেও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, অফিস, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালের অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের হালত একই। সর্বত্রই আজ স্থায়ী কর্মচারীর চেয়ে এরকম কর্মচারীর সংখ্যাই বেশি। কোথাও কোথাও দ্বিগুণ।
এঁদের স্থায়ীকরণের বালাই তো নেই-ই, সমকাজে স্থায়ী কর্মীদের সমান মজুরিও নেই। নেই স্থায়ী কর্মীদের সমান ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধেও। প্রভিডেন্ড ফান্ড, ইএসআই নেই অধিকাংশ জায়গায়। যেকটি জায়গায় প্রভিডেন্ড ফান্ডের অধিকার লড়াই করে অর্জন করা গেছে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে, কর্মচারীর ভাগের টাকা জমা পড়লেও মালিকের দেয় অর্থ নিয়মমাফিক জমা পড়ে না। বহু লড়াইয়ের পরে দীর্ঘ ১১ বছর পরে এই বছর রাজ্য সরকার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছে মাত্র ১০%। রাজ্যের (তৎকালীন) শ্রমমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত, আজ চার মাস কেটে গেলেও, সরকারেরই দপ্তরগুলিতে লাগু করা হলো না। খোদ কলকাতা কর্পোরেশনও বর্ধিত ন্যূনতম মজুরি দেওয়া চালু করেনি এখনও। এমনই হাজার অনিয়ম, হাজার অন্যায়।
প্রতিমাসে নিয়মমতো বেতন পান সব অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারী? পান না। ‘এই মাসে কবে বেতন হবে’, ভাবতে ভাবতেই তো কেটে যায় পুরো মাস। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেতন হয় মাসের শেষ সপ্তাহে, অনেক ক্ষেত্রে তাও হয় না। জানুয়ারির মাইনে হয় ফেব্রুয়ারির শেষে। কোথাও কোথাও একসাথে দু-তিন মাসের। একেই তো ওই ক’টা টাকা মাইনে, সেটাও যদি এমন অনিশ্চিত হয়! এমন উদ্বেগে আর অনিশ্চয়তায় বেঁচে থাকা যায়? মুখ বুজে সয়ে যাওয়া যায়? যেতে পারে?
উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামোর রিমা হেলা, হুগলীর তাজমিরা বিবিরা তো চিরটাকাল মুখ বুজেই সইছিলেন সবকিছু। সমস্ত শোষণ, বঞ্চনা। বহু ক্ষোভ ছিল বুকে, সেই সব বুকেই চেপে রেখেছিলেন। মুখ ফুটে বলেননি কখনো। কিন্তু কাঁহাতক? একদিন বাঁধ ভাঙল সহ্যের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি ছাত্র হস্টেলে কর্মরত রিমা, তাজমিরার মতন শতাধিক অস্থায়ী শ্রমিক সরাসরি নেমে এলেন পথে। অত্যাচারী ঠিকাদারের সাথে মুখোমুখি সংঘাতের পথে। ইউনিয়নের লাল ঝান্ডা হাতেই। মিছিলে হাঁটলেন, স্লোগান তুললেন, অবস্থানে বসে রইলেন, উপাচার্যকে ঘেরাও করলেন, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে থানাতেও গেলেন, মামলাও লড়লেন আদালতে, ধর্মঘটও করলেন নায্য দাবিতে। এবং দাবি আদায়ও করলেন ধাপে ধাপে।
মোদ্দা কথাটা হলো, শোষণ বঞ্চনা যেমন রয়েছে, মহানগরের শ্রমজীবীদের জীবনে তেমনই লড়াইও আছে। ভরপুর আছে।
আমাদের রাজ্যের সরকার, দেশের সরকার, মায় দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশেরই সরকার এমন নীতিতে চলছে যার ফলে পরিস্থিতিটা অসহনীয় হয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষের কাছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের ঠিকা ও অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীরা যেমন লড়াই চালাচ্ছেন, তেমনই ধারাবাহিক লড়াই লড়ছেন এই কলকাতারই হকাররাও। লাইসেন্সের দাবিতে, জোরজবরদস্তি উচ্ছেদের সম্ভাবনা রুখে দিতে।
তৃণমূলের মাতব্বরদের নিয়ে বানানো অবৈধ ভেন্ডিং কমিটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় ভেন্ডিং আইন মোতাবেক কমিটি বানানোর দাবিতে। লড়ছেন নির্মাণ শিল্পের শ্রমিকরাও সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকেরা যেসকল অধিকার অর্জন করেছিলেন, ছলে বলে কৌশলে সেই সবই কেড়ে নিচ্ছে সরকার। এমনকি নির্মাণ কর্মী কল্যাণ পর্ষদের ১৬০০ কোটি টাকার তহবিলও আত্মসাৎ করেছে মমতা সরকার। শ্রমিকদের তিলে তিলে জমানো এই টাকা খেলা, মেলা, ক্লাবে ক্লাবে অনুদানে খরচ হচ্ছে। পরিবহণ শ্রমিকদের, বিড়ি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কবচগুলিও লোপাট হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিআইটিইউ অনুমোদিত ইউনিয়নগুলি লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে অবিরাম লড়ে যাচ্ছেন আশা-মিড ডে মিল সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মীরা। দোকান সংস্থার কর্মচারিরা, সিকিউরিটি ও আনুযঙ্গিক পরিষেবার কর্মীরা, বেকারি থেকে হোসিয়ারি শিল্পের শ্রমিকেরা নিজ নিজ লড়াই লড়ছেন ইউনিয়নের পতাকাতলে। এমনকি ডেলিভারি শ্রমিকরাও গড়েছেন নিজস্ব ইউনিয়ন, সিআইটিইউ অনুমোদিত।
কলকাতায় সে ইউনিয়নের ধারাবাহিক আন্দোলনের চাপে, এই তো গত সপ্তাহেই, বেঙ্গালুরু থেকে ছুটে আসতে বাধ্য হয়েছেন সুইগির দুই হোমড়া চোমড়া আধিকারিক। বসতে বাধ্য হয়েছেন শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে। কিলোমিটার পিছু পে আউট বাড়ানোর, আয়ের মিনিমাম গ্যারান্টি (এমজি) দেওয়ার, একতরফা ব্লকিং বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন অবিলম্বে। লড়াই আছে বলেই না এগুলো সম্ভব হচ্ছে! লড়াই রাখতে হবে, চালিয়ে যেতেই হবে। আরও জোরদার।
পাশাপাশি এটাও সত্যি যে ক্ষেত্রভিত্তিক এই টুকরো টাকরা লড়াইগুলোকে জুড়ে-জুড়ে বড় আন্দোলন না গড়তে পারলে শ্রমিকশ্রেণির প্রত্যাঘাত হানার ক্ষমতা বাড়ানো যাবে না। আর সেটা বাড়াতেই হবে। সেই প্রয়োজনবোধ থেকেই সিআইটিইউ কলকাতা জেলা কমিটি কলকাতার শ্রমজীবী মানুষের কাছে আবেদন করেছে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামার।
ন্যূনতম মজুরি, অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমমজুরি, অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে শ্রমমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়রের কাছে ডেপুটেশন ৮ ডিসেম্বর। কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে অবস্থান। দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা।
পড়ে পড়ে আর কতদিন মার খাব আমরা, বলুন তো! পালটা আঘাত ফিরিয়ে তো দিতেই হবে।
Comments :0