River Erosion

সংকোশ নদীতে ভাঙ্গন আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয়দের

জেলা

অবিলম্বে সংকোশ নদীতে স্থায়ী বোল্ডারের বাঁধ নির্মাণ করা না হলে অচিরেই পশ্চিমবঙ্গের ভৌগলিক মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের ভানুকুমারী ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছিট বড় লাউকুঠি মৌজা। দ্রুত প্রায় ১ হাজার ৫০০মিটার বাঁধ নির্মাণ করাটা একান্ত আবশ্যক। কিন্তু সবকিছু জানা সত্ত্বেও আশ্চর্যজনক ভাবে নির্লিপ্ত প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। আর এই ভাঙনে প্রতিনিয়ত সংকট বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দীর্ঘ বছর ধরে এই সংকোশ নদীর ভাঙ্গনে এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে হয় সংশ্লিষ্ট এই এলাকার বাসিন্দাদের। বর্ষার সময় ভয়াবহ রূপ ধারণ করে এই নদী বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয় গ্রামবাসীদের বন্ধ থাকে স্কুল বন্ধ হয়ে যায় ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল। ইতিমধ্যেই বহু গ্রামবাসীর চাষের জমি থেকে বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। নদী বাঁধ না থাকায় বর্ষার সময়কালে গোটা গ্রাম প্লাবিত থাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ আবাদি জমিতে কৃষিকাজ বন্ধ থাকে। বিশেষ করে ছিট বড়লাউকুঠির ৯/১০৩ , ৯/১০৪নং বুথের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে বহু কৃষি জমি বিলীন হয়ে গিয়েছে নদী গর্ভে।
তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের ভানুকুমারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অসম সংলগ্ন এই ছিট বড়লাউকুঠি গ্রামটি সংকোশ ও রায়ডাক নদী গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে গোটা গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সেচ দপ্তরের উদ্যোগে এলাকায় ৮০০মিটার বোল্ডারের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ফের নতুন করে প্রায় ১ হাজার ৫০০মিটার এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙনে ফলে এক-তৃতীয়াংশ এলাকাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে শুরু করে বিডিও অফিস এমন কি সেচ-দপ্তরে বারংবার অভিযোগ জানানোর পরেও কোন ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের।
গ্রামবাসীরা জানান ইতিমধ্যেই নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। দ্রুত যদি এই বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা না হয়, তাহলে এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।

Comments :0

Login to leave a comment