salim on modi

পাকিস্তান বিভাজন চেয়েছিল বলছেন মোদীও, ভক্তরা বুঝছেন কি, প্রশ্ন সেলিমের

জাতীয় রাজ্য

সারা দেশে নিজের প্রচার করছেন। ভোটের প্রচার করছেন। অথচ পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর এই প্রথম গেলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর কাশ্মীর সফর প্রসঙ্গে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেলিম মনে করিয়ে দেন যে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দু’টি সর্বদলীয় বৈঠকের একটিতেও উপস্থিত ছিলেন না নরেন্দ্র মোদী। এমনকি বিরোধীরা দাবি জানিয়েছিল সংসদে কাশ্মীর নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য। তাতেও সরকার রাজি হয়নি।
তিনি বলেছেন, ‘‘বিরোধীরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন। বিদেশে গিয়ে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন তাঁরা। কিন্তু সরকার নিজের দায়িত্ব পালন করেনি।’’ 
এদিন কাশ্মীরে গিয়ে মোদী বলেছেন যে পহেলগাম করে পাকিস্তান চেয়েছিল দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে। সেলিম বলেন, ‘‘উনি একথা ঠিকই বলেছেন। পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল দেশে বিভাজন তৈরি করা। কিন্তু বিদেশসচিব একথা বলায় ভক্তরা গাল দিচ্ছিল। এবার প্রধানমন্ত্রী বললেন। ফলে বাকিরা নিশ্চয় বুঝবে যে সন্ত্রাসের সময় প্রধান কাজ হলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা। দেশের শত্রুরা দেশকে বিভাজিত করতে চায়।’’

সেলিম রাজ্যে মোদীর প্রচারের প্রসঙ্গেও প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘উনি পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, কিন্তু তখনও জম্মু ও কাশ্মীরে যাননি। ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসের পর সেনা অপারেশনে কাশ্মীরে প্রথম নিহত হন জওয়ান ঝন্টু আলি শেখ। তিনি এরাজ্যের তেহট্টের বাসিন্দা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যে এসে একবারও তাঁর নাম নেননি।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দেখাচ্ছেন যেন তিনি যেন একাই সব। কেবল তাঁর ছবি তেরঙা ঝাণ্ডা নিয়ে প্রচার করছেন। ব্যক্তি প্রচারের এই কৌশলে বিদেশনীতি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এনআরআই সমাবেশ করে ‘মোদী মোদী’ বলে চিৎকার করা আর যা-ই হোক, কূটনীতি নয়।’’

Comments :0

Login to leave a comment