এগারো বছরের দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর সারা শরীরে বারবার ছুরির আঘাত করা হয়েছিল। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিহারের মুজফ্ফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ হাসপাতালে। সেই হাসপাতাল পাঠিয়েছিল পাটনা মেডিক্যাল কলেজে।
অভিযোগ, হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সে পড়ে থাকতে হয়েছিল কিশোরীকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতিবাদ চলছে বিহারের সর্বত্র।
পরিবারের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবারই দেখা করেছেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব। সর্বভারতীয় সহসভাপতি রামপরীর নেতৃত্বে নিহত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মহিলা নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার তাঁরা জানিয়েছেন ন্যায়ের পক্ষে টানা লড়াই চালাবে মহিলা সমিতি।
ঘটনার জেরে শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছে নীতীশ কুমার প্রশাসন। পাটনা মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপারকেও দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।
২৬ মে এই কিশোরীকে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়। গত রবিবার কিশোরীর মৃত্যু হয় পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কিশোরীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাটনায়।
তবে বিহারে জনতা দল (ইউ)-বিজেপি জোট সরকারের মেয়াদে নারী নির্যাতন লাফিয়ে বেড়েছে। রামপরী বলেছেন, একদিকে ধর্ষণের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। আরেকদিকে গুরুতর আক্রান্ত কিশোরীরও চিকিৎসা হলো না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
Bihar Rape Murder
বিহারে নিহত দলিত কিশোরীর বাড়িতে মহিলা নেতৃবৃন্দ

×
Comments :0