CPIM Rrally at Malda

মালদায় লালঝান্ডার সমাবেশে জনজোয়ার

রাজ্য জেলা

CPIM Rrally at Malda


উৎপল মজুমদার

রাজ্যে পুলিশ তৃণমূলের কর্মী হয়ে কাজ করছে। তৃণমূলীরা যেভাবে বোমা, গুলি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে তা আড়াল করতে চাইছে পুলিশ। ভোট ঘোষণার সাথে সাথেই রাজ্যে খুন শুরু হয়ে গেছে। শুধু বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা নয় তৃণমূলীরাও খুন হচ্ছে। রবিবার মালদহে মীনাক্ষী মুখার্জীর তিনটি নির্বাচনী জনসভা হয়। উত্তর মালদার লক্ষ্মীপরের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথা গুলি বলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন,আমি পরিষ্কার বলছি পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। ভোটের সময় তা সে প্রচারে হোক, ভোটের দিন বা গণনার দিন যদি তৃণমূল কোনরকম গোলমাল করে, ভোট লুট করে তবে দায় তৃণমূল ও পুলিশের। মানুষের করের টাকায় বেতন পায় পুলিশ। এধরণের কোন ঘটনা ঘটলে আমরা পুলিশকে বুঝে নেব। কোন রেয়াত করবো না। সিভিক পুলিশদের সতর্ক করে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত নির্দেশ রয়েছে ভোটের কোন কাজ করানো যাবে না। ভুলেও কোন ভোট বা গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে যাবেন না আপনারা। আপনারা যেমন ফটো তুলতে পারেন আমরাও পারি। কেউই রেহাই পাবেন না। আমাদের ছেলেদেরও বলছি ক্যামেরা নিয়ে থাকতে। লাল ঝান্ডা যারা বহন করে তারা এসবে ভয় পায় না। 

তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বলেছিলেন সরকার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে চলবে না। গ্রামের মানুষের হাতে উন্নয়নের ভার তুলে দেওয়া হবে। ঠিক এক বছর পর ১৯৭৮সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত আইন পরিবর্তন করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করে গ্রামের মানুষের হাতে উন্নয়নের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়। যা আজ গোটা দেশ অনুসরণ করছে। শুধু তাই নয় আজ ১৮ বছরের উর্ধে যেসব ছেলেমেয়েরা ভোট দিচ্ছেন তাও বামফ্রন্ট পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছিল। শুধু তাই নয় গ্রামের মানুষ যাতে চাষাবাদ ছাড়াও সারা বছর আয় করতে পারেন তারজন্য ২০০১ সালে কেন্দ্রে বামফ্রন্টের সমর্থনে ইউপিএ-১ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বামেদের দাবি মেনে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প গোটা দেশে চালু হয়। যা গ্রামের মানুষের কাছে বড় ভরসার জায়গা হয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর গোটা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের টিকিট পেতে বিরাট অঙ্কের টাকা নেতাদের দিতে হয়। তিনি বলেন ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী, যিনি এখন বিজেপি নেতা, তিনি বলেছিলেন যারা বিরোধী শূন্য করবে সেইসব পঞ্চায়েতকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ফলে শাসক দলের কর্মীরা প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় ভোট কেন্দ্র ও গণনা কেন্দ্র লুট করে কার্যতঃ বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত গঠন করে। এবার কিন্তু বিষয়টা এতো সহজ হবে না। বামফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক শক্তি প্রথম থেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথে আছে। প্রশাসন লুটেরাদের মদত দিলে তাদেরও ছেড়ে কথা বলা হবে না।


এদি রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের সম্বলপুরে সভায় সভাপতিত্ব করেন এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমরেড কুন্তল চ্যাটার্জি। সভা সঞ্চালনা করেন কমরেড ভুবন কুমার। বক্তব্য রাখেন মীনাক্ষী মুখার্জি এবং মালদা জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড অম্বর মিত্র উপস্থিত ছিলেন দেবজ্যোতি সিনহা, রেজাউল করিম, কাইসুল হক, জহুর আলম, সুশান্ত সিংহ, মোজাফার হোসেন। এই সভায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মী মীনাক্ষী মুখার্জির উপস্থিতিতে লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নেন।

 

Comments :0

Login to leave a comment