JUSTICE 20 SEPTEMBER

সুবিচারের দাবিতে একজোটে মশাল মিছিল ২০ সেপ্টেম্বর

কলকাতা

মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিবাদীদের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিরা।

সুবিচারের দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন হয়েই চলেছে। এমন বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নানা অংশ এক সঙ্গে আন্দোলনের পথে নামতে চলেছেন। এই আন্দোলনের প্রথম ধাপে ২০ সেপ্টেম্বর হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার মশাল মিছিল হবে। মঙ্গলবার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। 
আর জি করের চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের সুবিচারের দাবিতে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন নিজ নিজ উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত করে চলেছেন। এবার তারা সমবেতভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত করতে চলেছেন। মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিবাদী মানুষজন সমবেত হয়ে এই কথা জানিয়েছেন। 
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে 'রাত দখল" কর্মসূচির আহ্বায়ক শামিল হওয়া মেয়েরা, ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান ক্লাবের সমর্থক, কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনী, বেসরকারি ক্ষেত্রের চিকিৎসক থেকে বিভিন্ন অংশের প্রতিবাদীরা অংশ নেন। 
তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে ও ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে একমাসের বেশি সময় ধরে লাগাতার প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করে চলেছেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন। মানব বন্ধন, মশাল  মিছিল, প্রতিবাদী সভা, নাটক, গান, কবিতা সহ নানান সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রতিবাদ সংগঠিত করে চলেছেন। 
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের সুবিচারের সহ বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের লাগাতার লড়াই আন্দোলনের চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী বাধ্য হয়ে কয়েকটি দাবি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেননি। হয়েছে রদবদল। তবে মাথা নোয়াতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
রদবদল প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে প্রতিবাদীরা জানিয়েছেন,  আন্দোলনের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর নত হওয়া বিষয়টি লড়াইয়ের প্রাথমিক জয় হিসেবে দেখছি আমরাও। তবে তিলোত্তমার সুবিচারের দাবির ধারাবাহিক লড়াই জারি থাকবে। তাছাড়া শুধুমাত্র আর জি করের ঘটনা নয়, আমাদের লড়াই জারি থাকবে সুস্থ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে। সব ক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা, সামজিক ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়ন, দুষ্কৃতীরাজের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।

Comments :0

Login to leave a comment