Deaf Mute Woman Gang-Raped

মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণ, বিক্ষোভের মুখে অভিযোগ নিল পুলিশ

রাজ্য

আবার নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলো শিল্প শহর দুর্গাপুরে। এবার ২৯ বছরের মূক ও বধির এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গরিব পরিবারের মূক ও বধির ওই তরুণী গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরে। 
পরিবার জানিয়েছে যে রবিবার বিকালে বাড়ি ফিরছিলেন না তরুণী। প্রতিদিন অন্যের বাড়িতে কাজ করে বাড়ি ফিরে আসেন বেলা তিনটে থেকে চারটের মধ্যে। রবিবার সময় পার হয়ে গেলেও তরুণী বাড়ি না ফেরায় তাঁর জামাইবাবু ও পরিজনরা তাঁর খোঁজে বের হন। এবিএল সংলগ্ন জঙ্গলের মধ্যে বিধ্বস্ত রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরা তরুণীকে উদ্ধার করেন। দু’জন দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 
পুলিশ তরুণীকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সগড় ভাঙা তাঁতিপাড়া ও চড়কতলা নিবাসী দুই দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ, প্রশাসন ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে।
সিপিআই(এম) নেতা পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ করেন, ‘’পুলিশ প্রশাসন প্রতিবারের মতন এবারও এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছে। নিগৃহীতা তরুণীর পরিবারকে ফোনে পুলিশ বলেছে, এখনই অভিযোগ করার দরকার নেই’’। 
সোমবার সকালের দিকে সিপিআই(এম)’র পক্ষ থেকে নিগৃহীতা তরুণীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় যে, তখনও তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়নি। মূক ও বধির তরুণী ইশারায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের বলেছেন যে তিনি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। 
সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ চাপ তৈরি করলে এদিন দুপুরে নিগৃহীতার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। এদিন দুর্গাপুর এনটিএস থানায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিআই(এম)। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা শান্তি মজুমদার, পার্টিনেতা পঙ্কজ রায় সরকার, রাকেশ শর্মা, মধুসূদন নায়েক প্রমুখ। 
এদিকে পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনাকে নিছক নারী নির্যাতন বলে চালিয়ে দিতে চাইছে। ঘটনার দিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও বিক্ষোভের মুখে থানা অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছে পরের দিন দুপুরে। এদিন থানায় ডেপুটেশন দিয়ে দাবি জানানো হয়, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাকে আড়াল করা চলবে না। দুষ্কৃতীদের শাস্তি চাই। শহরে সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে লাগাম পরাও। মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment