Israel Hezbollah clash

‘‘আগামীকাল যুদ্ধ শেষ হতে পারে, যদি...’’: হামাস প্রধান হত্যার পর নেতানিয়াহুর বার্তা

আন্তর্জাতিক

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পরিকল্পনাকারী ও হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার কয়েক ঘণ্টা পর ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজার জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, হামাস অস্ত্র সমর্পণ করে পনবন্দীদের ফেরত দিতে রাজি হলে আগামীকালের মধ্যেই যুদ্ধ শেষ হতে পারে।
এক্স-এ একটি ভিডিও শেয়ার করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইয়াহিয়া সিনওয়ার মারা গেছেন। রাফায় ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেনাদের হাতে নিহত হন তিনি। যদিও এটা গাজায় যুদ্ধের শেষ নয়, এটা শেষের শুরু। গাজার জনগণের প্রতি আমার সহজ একটি বার্তা- এই যুদ্ধ আগামীকালই শেষ হতে পারে। হামাস যদি অস্ত্র সমর্পণ করে এবং আমাদের পনবন্দীদের ফেরত দেয় তাহলে এর অবসান ঘটতে পারে’।
নেতানিয়াহু জানান, হামাস বর্তমানে গাজায় ১০১ জনকে পনবন্দী করে রেখেছে, যাদের মধ্যে ইজরায়েলসহ ২৩টি দেশের নাগরিক রয়েছে।
‘‘হামাস গাজায় ১০১ জনকে পনবন্দী করে রেখেছে যারা ২৩টি দেশের নাগরিক। তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমাদের ক্ষমতার সবটুকু দিয়ে সবকিছু করতে ইজরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা আমাদের পনবন্দীদের ফেরত পাঠাবে তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে ইজরায়েল,’’ বলেছেন তিনি। 


নেতানিয়াহু ইজরায়েলি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইজরায়েল নিরলসভাবে তাদের বিচারের আওতায় আনবে, ‘‘কিন্তু যারা আমাদের পনবন্দীদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের প্রতি আমার আরেকটি বার্তা আছে- ইজরায়েল তোমাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনবে। এ অঞ্চলের জনগণের প্রতিও আমার একটি আশার বাণী রয়েছে- ইরান যে সন্ত্রাসের অক্ষ তৈরি করেছিল তা আমাদের চোখের সামনে ভেঙে পড়ছে’’।
নেতানিয়াহু তার বার্তায় হাসান নাসরুল্লাহসহ হেজবোল্লাহ নেতাদের নির্মূল করার বিষয়টিও তুলে ধরেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে ইরান সরকার তার নিজের জনগণের উপর এবং ইরাক, সিরিয়া, লেবানন এবং ইয়েমেনের লোকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসের রাজত্ব ‘‘শেষ হবে’’।

‘‘নাসরাল্লাহ চলে গেছে, তার ডেপুটি মোহসেন চলে গেছে, হানিয়া চলে গেছে, দেইফ চলে গেছে, সিনওয়ার চলে গেছে। নেতানিয়াহু বলেন, ইরান তার নিজের জনগণের ওপর এবং ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনের জনগণের ওপর যে সন্ত্রাসের রাজত্ব চাপিয়ে দিয়েছে তারও অবসান ঘটবে,’’ বার্তা তার।
মধ্যপ্রাচ্যে চলতি যুদ্ধ বেসামরিক হতাহতের ঘটনা গাজা স্ট্রিপের মানবিক সংকট পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য বড় দেশগুলি বারবার যুদ্ধবিরতি, পনবন্দীদের প্রত্যাবর্তন এবং গাজায় বেসামরিক জনগণের জন্য সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment