কেন্দ্রীয় সরকারে সংরক্ষিত পদে কাজ করছেন কতজন, মোট কর্মীই বা কত, এমন তথ্য লুকাচ্ছে কেন্দ্র। অধিকারের দাবিকে লঘু করতেই এই কারসাজি, বলেছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত।
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক বিভাগ প্রতি বছরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। আগের পরপর কয়েক বছরে কর্মীর সংখ্যা জানানো হয়েছিল ৩০ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে কতজন সংরক্ষিত পদে কাজ করছেন, সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে কতটা বোঝা যেত।
এ বছর নভেম্বরে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বার্ষিক রিপোর্টে ১৯ লক্ষ কর্মীর উল্লেখ করয়েছে। সংরক্ষিত পদে কতজন কাজ করছেন, কেবল এই ১৯ লক্ষকে বিবেচনায় রেখে তথ্য পেশ করা হয়েছে।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিকাশ রাওয়াল বলেছেন, ‘‘বাকি কর্মীদের কেন আনা হলো না হিসেবে করার ক্ষেত্রে? কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বেতন বিষয়ক সমীক্ষা বিভাগের তথ্য জানাচ্ছে কেন্দ্রীর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ৩০ লক্ষ কর্মরত। অথচ কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক দপ্তর ১৯ লক্ষের হিসেব দিচ্ছে। কেন বাকিদের বিবেচনার বাইরে রাখা হলো তার কোনও ব্যাখ্যা কেন্দ্র দিচ্ছে না।’’
দিল্লিতে আদিবাসী অধিকার রাষ্ট্রীয় মঞ্চের ডাকে হয়েছে জাতীয় কনভেনশন। আট দফা দাবি তুলেছে কনভেনশন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বলেছেন সোনামণি টুডু সহ প্রতিনিধিরা।
সংগঠনের জাতীয় আহ্বায়ক পুলিশবিহারী বাস্কে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী জুয়াল ওরামের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই গিয়ে বিশদে বক্তব্য জানানো হবে।
বৃন্দা কারাত বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই তথ্য লুকাচ্ছে। যাতে অধিকারের দাবিতে আন্দোলনকে লঘু করা যায়।’’
Reservation Centre
ছিল ৩০ লক্ষ, সংরক্ষণের তথ্য লুকাতে ১৯ লক্ষ কর্মীর হিসেব দিচ্ছে কেন্দ্র!
×
Comments :0