পানামা খালের জলস্তর নেমে যাচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবেই তা হচ্ছে। কেবল উন্নয়নশীল নয়, শিল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যেও ভরসা এই জলপথ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদও কেবল উন্নয়নশীল বিশ্বের নয়।
জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদনে এমন যুক্তিই দিচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আজারবাইজানের বাকুতে সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে ২৯তম বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলন, পরিভাষায় ‘সিওপি ২৯’। বিশ্ব পরিস্থিতি জলবায়ু সমঝোতা গড়া এবং সে পথে এগনোর দিকে কতটা অনুকূল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান সাইমন স্টেল সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘শিল্পোন্নত দেশগুলি যদি মনে করে থাকে জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দ দান-খয়রাতি, তা’হলে ভুল ভাবছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব কেবল বৃদ্ধির বিচারে উন্নয়নশীল বা অনুন্নত বিশ্বকে ভোগাচ্ছে না।’’
তহবিল গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল যাতে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প ব্যবহার করার মতো প্রযুক্তি উন্নয়নশীল বিশ্ব হাতে পায়।
এবারের সম্মেলনে প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ক্লাইমেট ফিনান্স’ বা ‘জলবায়ু তহবিল’। ২০০৯’র বিশ্ব সম্মেলনে এই তহবিলে বছরে ১০০ বিলিয়ন (বিলিয়ন=১০০কোটি) মার্কিন ডলার দেওয়ার লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। শিল্পোন্নত দেশগুলি দায় নেয়নি বলেই সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে ২০২২ সালে পৌঁছে। ওইসিডি’র রিপোর্ট জানিয়েছিল যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কনভেনশন বা ইউএনএফসিসিসি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিল্পোন্নত দেশগুলি উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য ওই বছরে ১১৫.৮ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে তহবিলে। কিন্তু সমস্যা সেটিই নয়।
পরিবেশবিদ এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘ মনে করছে ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক লক্ষ্য বছরে ৫-৬ ট্রিলিয়ন (ট্রিলিয়ন=১ লক্ষ কোটি) ডলার হওয়া জরুরি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ মনে করিয়েছে ২০১৪ থেকে ২০২৪ বিশ্বে উষ্ণতম দশ বছর। প্রতি বছরেই তাপপ্রবাহের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। সমুদ্রতলের তাপমাত্রা বাড়ছে। বাড়ছে বিধ্বংসী ঝড়। অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি বিপুল। বিশ্বজুড়েই সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সঙ্কটের মুখে পড়ছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন আঘাত করছে বিশ্ব অর্থনীতিকেও।
শিল্পায়নের আগের তুলনায় উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সীমায়িত করার জন্য বিভিন্ন দেশে কী প্রস্তাব দেয়, সেদিকেও তাকিয়ে বিশ্ব।
COP 29
জলবায়ু সম্মেলনে চর্চার কেন্দ্রে সেই আন্তর্জাতিক তহবিল
×
Comments :0