Delhi Horror

বন্ধ ঘরে সুটকেসে দেহ, দিল্লিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

জাতীয়

রাজধানী দিল্লিতে যৌন নির্যাতন ও খুনের আরেকটি নৃশংস ঘটনা সামনে এসেছে। শনিবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির দয়ালপুর থানা এলাকায় সুটকেসের মধ্যে থেকে উদ্ধার নয় বছরের শিশুকন্যার বিবস্ত্র দেহ। দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।  শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে শনিবার রাতে স্থানীয় মানুষজন নির্যাতিতাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দয়ালপুর থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানতে পারে যে নির্যাতিতাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। 
উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন যে, শনিবার রাত ৮.৪১ মিনিটের দিকে দয়ালপুর থানায় এক নাবালিকা মেয়ের যৌন নির্যাতনের বিষয়ে একটি ফোন আসে। নেহেরু বিহারের ২ নম্বর গলি এলাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশ জানতে পারে যে অচেতন অবস্থায় একটি নাবালিকা মেয়েকে তার বাবা জেপিসি হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। সেখানে পৌছে জানা যায় ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা দেহ পরীক্ষা করার সময়, নির্যাতিতার মুখ এবং গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য অপরাধ ও ফরেনসিক দলকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছিল। টনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দয়ালপুর থানার পুলিশ একাধিক ধারার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। ডেপুটি কমিশনার আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের সন্ধ্যানে বিষেশ দল মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে ঘটনার পুর্ণঙ্গ তদন্তে এবং নির্যাতিতার পরিবারকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে পুলিশ সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাবে। 
নির্যাতিতা নিহত নাবালিকার পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। জানা গেছে শনিবার রাতে নিকটবর্তী এক আত্মীয়ের বাড়িতে বরফ আনার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল ওই নাবালিকা। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পরেও বাড়ি না ফেরায় তাকে খুঁজতে বেড়িয়ে পড়েন তার বাবা। স্থানীয় একজের কাছে শিশুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনের একটি আবাসনের দিকে যেতে দেখেছেন তাকে। তারপরই ওই আবাসনে যান নাবালিকার বাবা। দেখেন আবাসনের একটি ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। তাঁর সন্দেহ হলে তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। দেখেন সুটকেসের মধ্যে বিবস্ত্র আশঙ্কাজন অবস্থায় রয়েছে মেয়ে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ। পুলিশের অনুমান, শিশু কন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। তারপর তাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলতাক প্রতিবেশী আত্মীয়। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের বিশেষ দল।

Comments :0

Login to leave a comment