US ELECTION GAZA

গাজায় গণহত্যায় মদত, ক্ষোভ টের পেলেন হ্যারিস

আন্তর্জাতিক

গাজায় গণহত্যার খেসারত কি দিতে হল কমলা হ্যারিসকে? নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ভরাডুবির পরে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 
গণনার রিপোর্ট অনুযায়ী, একের পর এক আরব আমেরিকান প্রধান এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছেন হ্যারিস। আরব আমেরিকান সম্প্রদায় আগের নির্বাচনগুলিতে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে এই অঞ্চলেই ডেমোক্র্যাটদের ভরাডুবি ঘটেছে। 
মিশিগান প্রদেশের ডিয়ারবর্ন শহরে সবথেকে বেশি সংখ্যক আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের বাস। ২০২০ সালে জো বাইডেন এই শহরের ৭৪.২ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। চলতি নির্বাচনে ট্রাম্প এখান থেকে ৩৯.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে জয়ী হয়েছেন। হ্যারিস পেয়েছেন মাত্র ২৭.৮ শতাংশ ভোট, এবং তার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেন। স্টেন পেয়েছেন ২২ শতাংশ ভোট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজা গণহত্যায় ইজরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থন জোগানোর খেসারত দিতে হল ডেমোক্র্যাটদের। জো বাইডেন প্রশাসন গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় বিরামহীন জায়নবাদী আগ্রাসনকে মদত জুগিয়ে চলেছে। সেই প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন কমলা হ্যারিস। 
বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ বিরোধী সমাবেশ হয়েছে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে। জনতা বাইডেন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছে ইজরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সাহায্য করা বন্ধ হোক। 
কিন্তু সেই দাবিতে কর্ণপাত করেননি বাইডেন। আরব আমেরিকানদের দাবি ছিল, আগস্ট মাসের ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে আরব বংশদ্ভূত একজনকে স্পিকার করা হোক প্যালেস্তাইনের মানুষের প্রতি সংহতি জানাতে। 
সেই দাবি তো মানা হয়নি, উল্টে নির্বাচনী প্রচারের শেষ মুহূর্তে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন ডিয়ারবর্নের সভায় দাবি করেন, হামাস ইজরায়েলকে গাজায় গণহত্যা চালাতে বাধ্য করছে। 
এর তীব্র প্রতিবাদ হয়। জিল স্টেন প্রচার চালিয়ে বলেন, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চালু করতে হবে। আমরা এই গণহত্যা মানব না। 
গ্রিন পার্টির প্রচারে নজিরবিহীন ভাবে আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন। বহু ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্যকেও গ্রিন পার্টির হয়ে প্রচারে দেখা যায় ডিয়ারবর্নে। হ্যারিসের পাশাপাশি তীব্র প্রচার চালানো হয় ট্রাম্পের বহুত্ববাদ বিরোধী মতাদর্শেরও।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে হ্যারিস প্রচারের শেষ মুহূর্তে দাবি করেন, তিনি জিতলে যুদ্ধবিরতি চালু করবেন অবিলম্বে। 
যদিও নির্বাচনী ফল বলছে, জনতার মন বুঝতে বড্ড দেরি করে ফেলেছিলেন তিনি।

Comments :0

Login to leave a comment