মনোজ আচার্য
তৃণমূল- বিজেপির রাজনৈতিক আ্যজেন্ডায় কারখানা চালু করা, শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া, কাজ দেওয়া, মানুষকে খেতে দেওয়ার কথা পাওয়া যাবে না। পাওয়া যায় লুট, চুরি, দুর্নীতি, মানুষকে শোষণ বঞ্চনা করা আর জাত ধর্মের নামে ভাগভাগির রাজনীতি কথা। কিন্তু আমরা তো এর জন্য ভোট দিয়ে সরকার তৈরি করি না। তাই মানুষের ভাত-রুটি, জীবিকা, শিক্ষা লড়াইকে জোরালো করতেই ৭ জানুয়ারি লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে উত্তাল হবে মহানগর।
ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে বৃহস্পতিবার মেটিয়াবুরুজ এলাকায় আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেছেন ডিওয়াইএফ আই'র রাজ্যী সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। এদিন মেটিয়াবুরুজের কারবালা বাজারে ডিওয়াইএফআই’র ডাকে এই সমাবেশের হয়েছে। কারবালা বাজারে জমায়েত ছিল নজরকাড়া।
মেটিয়াবুরুজ এলাকার বহু বাসিন্দাই দর্জি ও ওস্তাগার পেশার সঙ্গে যুক্ত। জিএসটি’তে ই-ওয়ে বিল চালু হওয়ায় তাঁদের জীবিকায় মার খাচ্ছে। ১ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকার মালপত্র সরবরাহে ই-ওয়ে বিল বাধ্যতামূলক হয়েছে। দর্জির ব্যবসায় বেশিরভাগই ছোট আয়তনের কাজ। সরবরাহ হয় অন্যত্র। একদিকে বাজারে চাহিদা কম। তার ওপর ই ওয়ে বিলের জন্য করের আওতায় সবচেয়ে ছোট ব্যবসায়ীও।
সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ‘‘আমরা এই অভিসন্ধির বিরুদ্ধে লড়ব। এই এলাকার কোনও মানুষ যাতে রুজির তাগিদে পরিযায়ী শ্রমিক হতে বাধ্য না হন তার জন্যই ৭ ডিসেম্বর জনগণের ব্রিগেড।’’ তিনি বলেন, ‘‘ইনসাফ ছিনিয়ে নেওয়ার স্পর্ধা বুকে নিয়ে রাজ্যে র বিভিন্ন প্রান্তের মতো মেটিয়াবুরুজ এলাকার ছাত্র যুব মহিলা থেকে হাজার হাজার মানুষের গন্তব্য হবে ব্রিগেড।’’
৫০ দিন ধরে কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত ইনসাফের দাবিতে পথ হাঁটার কথা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, ‘‘এই দীর্ঘ রাস্তায় দেখেছি তথাকথিত উন্নয়নের বড়াইয়ের আড়ালে মানুষের হাহাকার, আর্তনাদের করুণ দৃশ্য। এই পরিস্থিতি পাল্টানোর জেদি শপথ নিয়েই লড়াই সংগ্রামের পথ ধরে এগিয়ে চলছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই।’’
এদিন বহু মানুষ সমাবেশের জন্য মীনাক্ষী মুখার্জির হাতে অর্থ তুলে দিয়েছেন। সমাবেশে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এসএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্যঅ সম্পাদক কৌস্তভ চ্যা টার্জি, ডিওয়াইএফআই কলকাতা জেলার সম্পাদক পৌলবী মজুমদার সহ ছাত্র যুব নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মইদুল ইসলাম।
এদিন মহানগরের অন্য এলাকাতেও ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে জোরদার প্রচার চলে।
Comments :0