পুরুলিয়ার কোটশিলা ব্লকের নোয়াহাতু বিটের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ যেমন জঙ্গল থেকে আসা বন্য প্রাণীর আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিন দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি তেমনি আতঙ্কে রয়েছেন বনকর্মীরাও। হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন কর্মী। সাধ্যমত তারাই চেষ্টা চালাচ্ছেন বন্যপ্রাণের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে। কার্যত তারাও অসহায়। কখনো গ্রামে জোড়া চিতার পায়ের চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে। আবার কোথাও জঙ্গল থেকে নেকড়ে বাঘ বেরিয়ে এসে ঘর থেকে জন্তু-জানোয়ার টেনে নিয়ে যাচ্ছে, মানুষকে আক্রমণ করছে। মাত্র দুদিন আগে গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলল একটি নেকড়ে বাঘকে। পাশের সিমনি বিটে বন্যপ্রাণী ধরার জন্য খাঁচা থাকলেও নোয়াহাতু বিটে কোন খাঁচা নেই।
জঙ্গল থেকে আসা বন্যপ্রাণীর বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার মতো লোকও এখন আর বনদপ্তরে নেই। পুরুলিয়া বন বিভাগের কোটশিলা বনাঞ্চলের নোয়াহাতু বিটে বিট অফিসার নিয়ে কর্মী মাত্র তিনজন। তারাই দপ্তর সামলাচ্ছেন। তারাই আবার স্কুটি নিয়ে টহল দিচ্ছেন এলাকায়। একদিকে লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে জঙ্গল থেকে যাতে কোন প্রাণী লোকালয়ে চলে না আসে। আবার পাশাপাশি মানুষকেও রক্ষা করতে হচ্ছে বন্য প্রাণীর হাত থেকে। অনেক সময় নোয়াহাতু বিট অফিসে তালা মারাও থাকছে। বনকর্মীদের দাবি তারা নিয়মিত টহল মারছেন। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হলো এত দীর্ঘ অঞ্চলজুড়ে এই নোয়াহাতু বিট রয়েছে যে সেখানে তিনজন বনকর্মীর পক্ষে সব জায়গায় সময়মতো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। অথচ হামেশাই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে বন্যপ্রাণী হামলা চালাচ্ছে লোকালয়ে। বন কর্মীদের অভাবে এবার মানুষই তাদের নিজেদের রক্ষা করতে পথে নেমেছেন। বনদপ্তরের পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
Purulia Forest
বনকর্মীর অভাব, আত্মরক্ষায় পথে নেমেছেন মানুষ
×
Comments :0