কুনাল ঘোষ জেলে ছিলেন। তখন মামলাও করেছিলেন। মামলা কে করেছিলেন, তিনি না তাঁর আইনজীবী?
শিক্ষক নিয়োগ মামলা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন আইনজীবী এবং সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিয়োগ আটকে থাকার জন্য বিকাশ ভট্টাচার্যকে দায়ী করেন। জবাবে ভট্টাচার্য বলেছেন, মামলা চলছে কারণ নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, চিট ফাণ্ড কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন কুনাল ঘোষ। তখন তিনি তৃণমূলের সাংসদ। তৃণমূল সরকারই তাঁকে জেলে ভরে। তিনি তখন মামলা করেছিলেন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেই। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়েছেন ভট্টাচার্য।
শনিবার এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ যান কুনাল ঘোষের বাড়িতে। তার আগে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে যান। তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেন আইনজীবী ভট্টাচার্য।
চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর তৃণমূল মুখপাত্র নিয়োগ জটের জন্য আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যকে দায়ী করেন। কুনালের অভিযোগ, কিছু আইনজীবীর জন্য চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একবার মামলা করেন বিকাশ ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। কাউন্সেলিংয়ের মতো নিয়োগের প্রক্রিয়াও মিটে যায়। ফের আরেক অংশের হয়ে মামলা দায়ের হয়। মামলা চলার কারণে নিয়োগ আটকে যায়। নিয়োগের সমস্যার জন্য আইনজীবীদের দায়ী করেন কুনাল।
ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আইনজীবীরা জট তৈরি করছে না। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বঞ্চনার অভিযোগের মামলা দায়ের হয়েছে। সেই কারণেই স্থগিতাদেশ হয়েছে। নিয়োগ না হওয়ার কারণ দুর্নীতি।
কুনাল ঘোষের উদ্দেশ্যে ভট্টাচার্য বলেন, প্রকৃত দরদ থাকলে তৃণমূলের মুখপাত্র তাঁর দলের সরকারকে কেন বলছেন না নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে। যেখানে বলা থাকবে যে বেনিয়মের নিয়োগ সব বাতিল। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। সে কাজ হলেই তো সমস্যা মিটে যায়। যুক্তি বা তর্কের ধার ধারছেন না কুনাল ঘোষরা, কেবল কুৎসা করছেন।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি)’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সর্বশেষ এসএলএসটি পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৬ সালে। যদিও সেই পরীক্ষা ঘিরেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। কিন্তু গত ৭ বছরের বেশি সময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন নতুন এসএলএসটি’র বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত দেয়নি।
আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি বলেছেন, কোনও আইনজীবী মামলা আটকে রাখেন না। মামলা শোনেন বিচারপতি। কোনও ব্যক্তির বিষয়ই নয়। বিচারপ্রক্রিয়ার বিষয়।
Comments :0