ঘাটকোপার, মুম্বাইয়ের একটি অঞ্চল যেখানে গুজরাটের মানুষের বসবাস বেশি। ঘাটকোপারের প্রসঙ্গ তুলে সরকারকে নিশানা করে উদ্ধব মন্তব্য করেন, ‘হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, আমি সরকারকে বলবো ঘাটকোপারের স্কুলগুলোয় মারাঠা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হোক।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাজ থ্যাকারে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমানে হিন্দি ভাষার আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে। হিন্দি আমাদের জাতীয় ভাষা নয়।’ রাজ স্পষ্ট জানিয়েছে তাঁর দল হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে। আর এই হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ‘দুই ভাইয়ের’ এক হওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে মারাঠা রাজনীতিতে।
২০০৫ সালে শিবসেনা ছেড়ে নিজের আলাদা দল তৈরি করেন রাজ। সম্প্রতি ভেঙে গিয়েছে শিবসেনা। দু’টি দল তৈরি হয়েছে। একটি উদ্ধবের অন্যটি শিন্ডের। আলাদা দল করে রাজনীতিতে নামলেও সেই ভাগ দাগ কাটতে পারেননি রাজ থ্যাকারে। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে রাজ বলেছেন তার এবং তার তুতো ভাই উদ্ধবের যে বিরোধ তা মহারাষ্ট্রের যে সংস্কৃতি তার পক্ষে ক্ষতিকর হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘উদ্ধবের সঙ্গে আমার বিরোধ সামান্য। কিন্তু আমাদের এই বিরোধের থেকেও আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মারাঠা সংস্কৃতি এবং মহারাষ্ট্রের নিজস্ব অস্তিত্ব।’’ তিনি আরও বলেন যে তাঁদের একসঙ্গে আসা কোন সমস্যার নয়, উভয়ের ইচ্ছা থাকলে তা সম্ভব। তাঁর দাবি, রাজ্যের মানুষ এক হয়ে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করা প্রয়োজন।
রাজ থ্যাকারের কথায়, মহারাষ্ট্রের মানুষ যদি চায় তাহলে সে তার বিরোধকে দুরে রেখে উদ্ধবের সঙ্গে কাজ করতে তৈরি। তাঁর কথায় রাজ্যের মানুষকে এই বিষয় মতামত দিতে হবে।
সম্প্রতি একটি সভা থেকে শিবসেনা নেতা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে বলেন, ‘‘আমি সব ধরনের বিরোধকে সরিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করতে রাজি।’’ তাঁর কথায়, রাজ্যের স্বার্থে সব মারাঠাদের এক হওয়া প্রয়োজন। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন কারখানা গুজরাটে চলে গিয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উদ্ধবের কথায়, যারা মহারাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদের সাথে কোন সমঝোতা সম্ভব নয়।
Comments :0