Post editorial

ট্রাম্পের কর যুদ্ধ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ক্ষ্যাপামো

উত্তর সম্পাদকীয়​

বিজু কৃষ্ণান

 

পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় ২৬ জন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুতে যখন ভারতীয়রা শোকাহত, ঠিক তখনই হিন্দুত্ববাদের ধ্বজাধারীরা ঘৃণার প্রচার ও যুদ্ধোন্মাদনাকে উসকে দিতে শুরু করে। জনসাধারণকে অন্ধকারে রেখে কর্পোরেট মিডিয়ার তৈরি করা ধোঁয়াশার আড়াল ব্যবহার করে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উন্মাদ গতিতে আলোচনা চলতে থাকে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শেষ অবধি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা মারফত শেষ হয়। দুটি দেশেই শাসকশ্রেণি ও কর্পোরেট মিডিয়া জনসাধারণের মধ্যে যুদ্ধোন্মাদনাকে চরমে পৌঁছে দেয়। এক্ষেত্রে যা আশ্চর্যের তা হলো ভারত ও পাকিস্তানের তরফে সরকারি বিবৃতি জারি হওয়ার আগেই ঐ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প দাবি করলেন বাণিজ্য সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তিনিই সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত ঠেকিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে এক হলফনামা পেশ করে মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ডলা টনিক’র দাবি ঐ ‘হস্তক্ষেপ’র মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উভয় দেশকে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের সুযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তারই সুবাদে বড় সংঘাত রোধ করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’কে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কোনও প্রশ্ন করেনি। পহেলগাম হামলার পিছনে নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়েও তারা কোনও প্রশ্ন তোলে না, সন্ত্রাসবাদী যারা হামলা চালিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেল তা নিয়েও কোনও কথা বলে না। সর্বদলীয় বৈঠক এড়িয়ে বিহারে আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে দেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন আর কোনওরকম তথ্যানুসন্ধান ব্যতিরেকেই সংবাদমাধ্যমগুলি যাবতীয় অবাস্তব দাবির পুনরাবৃত্তি করে চলেছে। এমনকি ভারতীয় সেনা বাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে মধ্য প্রদেশের বিজেপি মন্ত্রী বিজয় শাহ কুরুচিকর মন্তব্য কিংবা কেন্দ্রীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ও তার কন্যার প্রতি ট্রোলিং প্রসঙ্গে একটি শব্দও উচ্চারণ করা হচ্ছে না।
যুদ্ধোন্মাদনার চরম পর্যায়ে দেশের কৃষক, মৎস্যজীবী সহ সাধারণভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) উপর নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি করার জন্য তৎপর ছিল। এসমস্ত সিদ্ধান্তে কোটি কোটি ভারতীয়ের জীবিকা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রতিকূল প্রভাব পড়তে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমনই বৈপরীত্যপূর্ণ প্রেক্ষাপটে আলোচনা চলছিল যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প “মুক্ত বাণিজ্য”র নামে শুল্ক-মুক্ত আমদানি চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের মতো দেশের উপর শুল্ক-যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছিলেন।
এখনও অবধি যা দেখা যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশের সামনে মাথা নত করেছেন এবং মার্কিন পণ্যের জন্য শুল্ক সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ সহজ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে এগচ্ছেন। হাওয়ার্ডলাটনিক জোর দিয়ে বলেছেন ভারতের কৃষি বাজারকে বিশ্ববাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় কৃষি কখনোই ‘আলোচনার বাইরে’র বিষয় হিসাবে থাকতে পারে না। জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে বিনা শুল্কে নির্দিষ্ট পরিমাণ মুসুর ডাল ও মটর আমদানি করার বিষয়ে ভারত ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে। দোহা থেকে জারি করা বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন ভারত এমন একটি বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে যার সুবাদে মার্কিন পণ্যের উপর ‘প্রায় শূন্য শুল্ক’ ধার্য হবে। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিজেদের গড় শুল্ক ব্যবধানকে ভারত ১৩ শতাংশ থেকে প্রায় ৪ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য নীতিতে সামঞ্জস্য রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের এমন সিদ্ধান্ত একটি অন্যতম বৃহৎ পদক্ষেপ হতে চলেছে। বর্তমানে ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষিপণ্যের রপ্তানি ৫.৩ শতাংশ শুল্কের অধীন অথচ ঐ দেশ থেকে ভারতে কৃষিপণ্য আমদানির বেলায় ৩৭.৭ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। ফলে এই দু’য়ের মধ্যে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩২.৪ শতাংশ। যদি বিনা শুল্কে বা করের হার অনেকটা কমিয়ে দিয়ে ভারতের বাজারকে মার্কিন কৃষিপণ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় তবে পরিস্থিতি কেমন হবে ভেবে দেখা উচিত। মনে রাখতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি মূলত কর্পোরেট ব্যবসায়ীদেরই হাতে রয়েছে। ২০১৬ সালে সেদেশের কৃষকরা গড়ে প্রতি বছর ৬১,২৮৬ মার্কিন ডলার মূল্যের সরকারী সহায়তা পেয়েছেন। ২০১৮-১৯ সালে একজন ভারতীয় কৃষকদের জন্য সরকারি সহায়তার পরিমাণ মাত্র ২৮২ মার্কিন ডলার। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে কোনোরকম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি কার্যত ঐ অসাম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং ফসলের গড় দামের নিরিখে ভারতীয় কৃষকদের জন্য বাড়তি দুর্ভোগ ডেকে আনবে। 
বড় বড় মার্কিন পণ্য-কার্টেলগুলি ভারতের অভ্যন্তরীণ ভরতুকি এবং বাণিজ্য-প্রতিবন্ধকতার ধুয়ো তুলছে। ভারতীয় কৃষকদের সতর্ক থাকতে হবে বর্তমানে আলোচনাধীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দেশীয় দুগ্ধ উৎপাদকদের জন্য মৃত্যুঘণ্টা বাজাতে চলেছে। দু’দেশের বাণিজ্যে শুল্ক ও বাজার-নিয়ন্ত্রণের চলতি বন্দোবস্তটি বাতিল হলেই আমেরিকা থেকে ভারতে দুগ্ধপণ্যের রপ্তানি হু-হু করে বেড়ে যাবে। এ হুমকি যে কেবলমাত্র দুগ্ধবাণিজ্য ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ এমন নয়, মার্কিন গম অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ভারতে অভ্যন্তরীণ ভরতুকি ও বাণিজ্য বিধিনিষেধ নাকি অস্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে। তারা আশা করছে, ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে মার্কিনী উৎপাদকদের মুনাফা বাড়বে প্রায় ৭৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জিন প্রযুক্তিতে নির্মিত (জেনেটিকালিমডিফায়েড) ভুট্টা এবং ইথানল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার জন্য ভারতের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে যাতে মার্কিনী উৎপাদকদের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বাড়তি মুনাফা হয়। সোয়াবিন, বাদাম, পেস্তা, আখরোট, আপেল সহ বিভিন্ন ফসল সবই এ আলোচনার অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন পণ্য-কার্টেলগুলিই এখন দাপটের সঙ্গে শাসন করছে।

ভারতের তুলা চাষিরা চরম সঙ্কটে ভুগছেন, আত্মহত্যা করছেন। আমাদের বার্ষিক তুলা উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমছে, ২০১৭-১৮ সালে ৩৭ মিলিয়ন বেল (এক বেল = ১৭০ কেজি) থেকে ২০২২-২৩ সালে ৩৪.৭ মিলিয়ন এবং ২০২৩-২৪ সালে সেখান থেকে আরও কমে ৩১.৬ মিলিয়ন বেলে পৌঁছানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য আলোচনা অত্যন্ত অসংবেদনশীল সিদ্ধান্ত। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফরের প্রাক্কালে ভারত সরকার বোলগার্ড-টু -এর ৪৫০ গ্রাম প্যাকেটের সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য ৪৮ টাকা বাড়িয়েছে। এক বছরে গড় হিসাবে প্রায় ৪.৫ কোটি প্যাকেট বিক্রি হয় অর্থাৎ এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে বড় কৃষি কর্পোরেশনগুলোর হাতে বিপুল মুনাফা যাবে তা সহজেই অনুমেয়। ৫.৬ শতাংশেরও বেশি এই মূল্যবৃদ্ধি এসেছে মাত্র এক বছর আগে একইভাবে প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পরে। এটি একটি সচেতন পদক্ষেপ যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমদামি তুলো ভারতের বাজারে ঢুকে ভারতীয় তুলোর বাজার দখল করতে পারে। প্রশ্ন হল প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ কার স্বার্থ রক্ষা করছে?

তথ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বাণিজ্য দ্বিগুণ করে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি ‘মিশন ৫০০’ পরিকল্পনা চলছে। এ সমস্ত আলোচনাই রাজ্য সরকার বা সংসদের আস্থা অর্জন ছাড়াই করা হচ্ছে। এই ধরনের চুক্তিগুলিতে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড প্রয়োগেরও কোনও নিশ্চয়তা নেই। চীন, কানাডা, মেক্সিকো’র মতো দেশ ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করেছে অথচ ভারত কার্যত আত্মসমর্পণ করে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে। কানাডা ও মেক্সিকো যাদের মোট রপ্তানির ৭০ শতাংশেরও বেশি যুক্তরাষ্ট্রে যায় তারাও দ্রুত পালটা ব্যবস্থা নিয়েছে অথচ ভারত যার প্রায় ১৮ শতাংশ রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে যায় তারা অমন দাপটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অক্ষম। সম্প্রতি বিজেপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এয়ারটেল ও জিও’র সঙ্গে এলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিঙ্কের চুক্তি হয়েছে। বিভিন্ন বাণিজ্য উৎপাদনের প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে ধারবাহিকতায় ভারতকে অপমান করে চলেছেন, ঐ চুক্তি তার সর্বশেষ উদাহরণ। কৃষি, জেনেরিক ওষুধ থেকে শুরু করে মেশিনের যন্ত্রাংশ সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত কোটি কোটি শ্রমিকের স্বার্থও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও মুক্ত-বাণিজ্য বিষয়ক চুক্তি এবং এ অভিমুখে ভবিষ্যতের অন্যান্য যাবতীয় চুক্তির কথাবার্তা সবই সম্পন্ন হলো এদেশের জনসাধারণকে অন্ধকারে রেখে। সারা দেশের কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার বিন্দুমাত্র আলোচনা করল না, বিভিন্ন রাজ্যের সরকার এমনকি দেশের সংসদেও এ প্রসঙ্গে কোনোরকম আলোচনাই হলো না। অথচ এমন সিদ্ধান্তের কুপ্রভাবে কৃষক, দুগ্ধ উৎপাদক, মৎস্যজীবী, ফুলচাষিরা সহ লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটিরুজির সঙ্কট দেখা দিতে পারে। চা, কফি, মরিচ, রবার চাষে মুক্তবাণিজ্য নীতির প্রভাবে ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কা ও কেরালায় লক্ষ লক্ষ কৃষকদের লোকসান হয়েছে। মুক্ত বাণিজ্যের যতটুকু প্রভাব আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই প্রকট সে সম্পর্কে কোনোরকম পর্যালোচনা না করেই কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক চুক্তি স্বাক্ষর করে চলেছে। এধরনের চুক্তিতে স্বাক্ষরের সময় রাজ্যগুলির সাংবিধানিক অধিকার ও কৃষকদের স্বার্থ আদৌ বিবেচনায় আসছে না। এমন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আগামী দিনে দেশের কৃষকরা বড় আকারের আন্দোলন-সংগ্রামের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময়ই সারা ভারত কৃষকসভার পক্ষ থেকে ‘ভান্স গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। আগামী ৯ জুলাই সারা দেশের শ্রমজীবীরা ঐক্যবদ্ধ সাধারণ ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছেন। কৃষিবাণিজ্য প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম স্বচ্ছতার দাবিতে সারা দেশের কৃষক ও খেতমজুররাও ধর্মঘটের সমর্থনে সক্রিয় হবেন। কর্পোরেট মুখী, জনস্বার্থ বিরোধী সরকারি নীতির বিরুদ্ধে এ এক লড়াই। দেশের শাসক শ্রেণি ও তাদের ধামাধারীরা যখন জনমানসে যুদ্ধের উন্মাদনা প্রচার করছে ঠিক তখনই সারা দেশের শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার যুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছেন। বিজয়ী না হওয়া অবধি তাদের এ সংগ্রাম চলবে।    


 

Comments :0

Login to leave a comment