জানা অজানা — নতুনপাতা, কবিপক্ষ - বর্ষ ৩
ক্যাপিবারা
তপন কুমার বৈরাগ্য
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইঁদুর ক্যাপিবারা। ক্যাপিবারা কথার
অর্থ ঘাস ভক্ষক।এরা সাধারণত নদী,পুকুর জলাশয়ের
ধারে থাকে।এদের ব্রাজিলের আমাজন বনে, সেররাডো ও ক্যাম্পোস তৃণভূমিতে দেখা যায়।এরা উভচর প্রাণী।জলে দ্রুত সাঁতার কাটতে পারে আবার ডাঙ্গায় দ্রুত ছুটতে পারে।এরা লিপ্তপদী প্রাণী।তাই জলে ভালো সাঁতার কাটতে পারে। শুনলে আশ্চর্য হতে হয় এই জাতীয় ইঁদুরের ওজন ৩৬কেজি পর্যন্ত হতে পারে। দৈর্য্যে সাড়ে চারফুট পর্যন্ত হতে পারে।উচ্চতা প্রায় তিনফুট হয়।
আমাজনের ঘন জঙ্গল ও ঘাসের মধ্যে এদের দেখা যায়।
এক একটা দলে প্রায় চল্লিশটা করে ইঁদুর থাকে।সূর্যের আলো
এদের পছন্দ নয়।তাই জলাশয়ের ধারে ঠান্ডা আবহাওয়ায়
এরা থাকতে ভালোবাসে।এদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।
বৃহত্তর ক্যাপিবারা এবং ক্ষুদ্রতর ক্যাপিবারা। এক একটা
বৃহৎ ক্যাপিবারা এক একটা চিতাবাঘের মতন হয়। ক্যাপিবারা
অত্যান্ত সহনশীল প্রাণী।এরা কারো ক্ষতি করে না।সকলের
সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে।এদের অন্য প্রাণীরা ক্ষতি করে;কিন্তু
এরা কারো ক্ষতি করে না। এরা যে কোন শত্রুদের অনায়াস বন্ধু
হতে পারে।এরা কুমিরের পিঠে উঠে খেলা করে।বাঘেদের মুখে
চুমো খায়।মাঝে মাঝে এরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে
আনে। আবার কখনো এরা কুকুরের বাচ্চাদের আদর করে।
এরা স্তন্যপায়ী প্রাণী।একসাথে এদের দু-তিনটে বাচ্চা হয়।
এদের সবচেয়ে বড় শত্রু জাগুয়ার,অ্যানাকোন্ডা,পিরানহা মাছ।
এই সব প্রাণীদের ক্যাপিবারা এখনো বন্ধু হতে পারে নি।
এরা সাধারণতঃ দশ বছর বাঁচে। ১৫০দিন পর পর এদের
বাচ্চা হয়।মাতৃস্তন্য খেয়ে এদের বাচ্চারা বড় হয়।
ক্যাপিবারার গায়ের রঙ সোনালী এবং লোমগুলো
খুব মোলায়েম।এদের সাথে আমাদের দেশের গিনিপিগের
অনেক মিল আছে।আমাজন অববাহিকায় বসবাসকারী
আদিবাসীরা এদের মাংস খায়।
Comments :0