রুক্ষ মাটিতে জীবন জীবিকা। এই অঞ্চলে বনজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার দাবি সিআইটিইউ ঝাড়গ্রাম জেলা সম্মেলন।
জেলার সাতটি ব্লক জুড়ে কাজের আকাল। ২৯ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের পরিবারের জীবিকার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার শপথ উচ্চারিত হয়েছে সংগঠনের ঝাড়গ্রাম জেলা প্রথম সম্মেলনে।
রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের দীর্ঘপথে শ্রমজীবী মানুষের বর্ণাঢ্য মিছিলের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ছড়িয়ে যায় আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের দাবিও।
মিছিলে শামিল হন ধামসা মাদল নিয়ে শ্রমজীবী, আদিবাসী মানুষ সহ মহিলারা। মিছিলে অংশ নেন সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য গার্গী চ্যাটার্জী, প্রদীপ কুমার সরকার, পুলিন বিহারী বাস্কে প্রমুখ।
পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের সূচনা হয়। মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করে ‘পথিকৃৎ’ সাংস্কৃতিক সংস্থা। উদ্বোধনী বক্তব্যে গার্গী চ্যাটার্জী বলেন, শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নে উপর দমন পীড়ন চলছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণে
কেন্দ্রীয় সরকার দানবীয় শ্রমকোড পাশ করেছে। বিধি জারি না হলেও রাজ্যের তৃণমূল সরকারও শ্রমকোড অনুযায়ী চলছে। প্রতিরোধের আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান চ্যাটার্জি।
সম্পাদকীয় খসড়া প্রতিবেদন পেশ করেন জেলা সম্পাদক পার্থ যাদব। তিনি বর্তমান সময়ে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে জেলায় শ্রমিক সংগঠনের সাফল্যকে তুলে ধরে তার ভিত্তির ওপর আগামী দিনে সংগঠন গড়ে তোলার কয়েক দফা প্রস্তাব উদ্থাপন করেন।
১৮ টি ইউনিয়নের পক্ষে রিপোর্টি করেন প্রতিনিধি রা। সম্মেলন মঞ্চে ৬ টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
সম্মেলন থেকে ১১০ জনের জেলা কাউন্সিল গঠিত হয়। সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনের জন্য বিভিন্ন ট্রেড থেকে ৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। সম্মেলন থেকে সভাপতি নির্বাচিত হোন হেনা সৎপতি এবং সম্পাদক নির্বাচিত হয় পার্থ যাদব। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন নিমাই বোস।
CITU Jhargram
পরিযায়ী ২৯ হাজার, আন্দোলনের শপথ সিআইটিইউ ঝাড়গ্রাম জেলা সম্মেলনে
ঝাড়গ্রামে রবিবার মিছিলে গার্গী চ্যাটার্জি সহ সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ।
×
Comments :0