SFI: ASSEMBLY MARCH

হকের দাবি আদায়ে অভিযান

রাজ্য

SFI ASSEMBLY MARCH ১০ মার্চ বিধানসভা অভিযানের প্রচারে এসএফআই।

বাদশা দাস 

বেশিদিন আগের কথা নয়। বজবজ কলেজে ১৫১ তম স্থানে, আশুতোষ কলেজে ইংরেজি অনার্সের মেধা তালিকায় প্রথম স্থানে এবং বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজে মেধা তালিকায় নাম তুলেছিলেন সানি লিওনি। অবশ্য শুধু সানি লিওনি নয়, মিয়া খলিফা আর ড্যানি ড্যানিয়েলসও মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন বারাসতের সরকারি কলেজটিতে। 

গায়িকা নেহা কক্করও ছাড় পাননি। তার নামও ঠাঁই পেয়েছিল কোনও একটি কলেজের মেধা তালিকায়। ঘটনাটা ২০২০ সালের। আদৌ তাঁরা ভর্তি হয়েছিলেন কিনা, ভর্তি হলে ক্লাস করেছেন কিনা বা পড়াশোনা করে এখন কোন সেমিস্টার দিচ্ছেন বাংলার মানুষ আর জানতে পারেননি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, অধুনা হাজতবাসী, পার্থ চ্যটার্জি তখন জানাননি।

সেদিন আমরা অনেকে মজাই করেছিলাম। আসল দোষীকে কিছু বলিনি। বুঝেও বুঝতে চাইনি যে সানি লিওনি বা মিয়া খলিফার নামের আড়ালে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আসলে শিক্ষা ব্যবস্থাটার প্রতি একটা অনীহা তৈরি করে মানুষকে বোকা বানিয়ে ঘুরপথে কোটি কোটি টাকা উপায়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। 

অনেকে বুঝিনি, বলা ভাল বুঝতে চাইনি, কিভাবে নির্বাচনে অঢেল অঢেল টাকার জোগান আসে! আজ পার্থ ফেঁসেছেন, তাই অনেক কথা উঠছে। আপনার টাকা, আমার নীরবতা, আমার-আপনার উপেক্ষাই আজ রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার পার্থ তৈরি করেছে। তাদের কেউ মন্ত্রী, কেউ মহাসচিব, কেউ কাউন্সিলর, কেউ বা ব্লক সভাপতি বা পঞ্চায়েত প্রধান। ফি বছর রাতারাতি গজিয়ে ওঠা ক্লাবগুলোকে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়ে এলাকা এলাকায় সন্ত্রাস বা চাপা সন্ত্রাস বজায় রেখে নিশ্চিন্ত কারবার চলেছে। তৈরি হয়েছে এমএসকে, এসএসকে, প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুল ব্যবস্থাই তুলে দেওয়ার ব্লু প্রিন্ট।

কিভাবে?

অন্য রাজ্যে বাড়ল, এ রাজ্যে কমল পরীক্ষার্থী

মাধ্যমিকে প্রায় ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গেল এক ধাক্কায়। অতিমারি বা করোনা সংক্রমণ কোনও রাজ্যকে রেহাই দিয়েছে, এমন খবর জানা নেই। সে-ক্ষেত্রে করোনার প্রকোপের দরুন শুধুমাত্র বাংলায় মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাবে কেন? তথ্য ঘেঁটে জানা গেল, বেশিরভাগ রাজ্যেই পরীক্ষার্থী বেড়েছে।

প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের তথ্য বলছে, গত বছর পাঁচ লক্ষের কিছু বেশি পড়ুয়া তাঁদের দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসলেও এ বার সেই সংখ্যাটা ৭০ হাজারের মতো বেড়েছে! কেরলে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হবে ৯ মার্চ। গত বছর সোয়া চার লক্ষের মতো পড়ুয়া দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসেছিল। এ বারের সংখ্যাটা তার থেকে ৩০ হাজারের মতো বেশি। অপর প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে চলতি বছরে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দিচ্ছে ১৫ লক্ষের কিছু বেশি পড়ুয়া যা গত বারের সংখ্যার তুলনায় কিছু বেশি। আরেক প্রতিবেশী ওডিশায় দশমে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সংখ্যাটা ছ’লক্ষ ছুঁই ছুঁই।

তাহলে কেন কমল পরীক্ষার্থী? বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পবিত্র সরকার বলেছেন, ‘‘লকডাউনের সময়ে উপযুক্ত পঠনপাঠন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন পড়ুয়ারা।’’ এ কথাই আমরা, এসএফআই, বারবার বলেছিলাম। বলেছিলাম ‘ডিজিটাল বৈষম্য’ চলবে না। পবিত্র সরকারও বলেছেন, ‘‘কেরলে শতকরা ৫৪টি পরিবারের পক্ষে সন্তানকে অনলাইনে পড়ানো সম্ভব হলেও এ রাজ্যে তা শতকরা ২৩টির বেশি পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ফলে বহু ছাত্রছাত্রী শিক্ষার আঙিনা থেকে ছিটকে গেছে।’’ 

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে আমরা দেখেছি, ঝাড়খণ্ডের মতো ছোট রাজ্যও এই সমস্যা অন্যভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছে। ফলে সেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা না কমে বেড়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় ঝাড়খণ্ডের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে ২০২৩ সালে যাদের মাধ্যমিকে বসার কথা, তাদের উপরে স্কুলের শিক্ষকেরা বিশেষ ভাবে নজর রেখেছিলেন। যা আমাদের রাজ্যে চিন্তাতেও সরকার আনেনি। এ রাজ্যে স্কুল বন্ধই করে রাখা হয়েছে সবচেয়ে বেশি দিন। স্কুল খোলাতেও আন্দোলনে নামতে হয়েছে ছাত্রদের।

শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ‘সফল প্রয়োগের’ দাবি

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য অন্য সুর ধরে নিজেদের পক্ষে ঝোল টানা চেষ্টা করেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষার অধিকার আইনের (২০০৯) সফল প্রয়োগ। একটু পরিসংখ্যান নিয়ে নাড়াচাড়া করা যাক। অবশ্যই এই পরিসংখ্যান রাজ্য সরকারেরই। কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রদত্ত রাজ্য সরকারের তথ্য (ডাইস রিপোর্ট) অনুসারে, ২০১৩-১৪ সালে বারো লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছিল প্রথম শ্রেণিতে যা পূর্ববর্তী বছরগুলির তুলনায় কিছুটা কম।  এটাকেই ব্রাত্যবাবুরা শিক্ষার অধিকার আইনের সফল প্রয়োগ হিসেবে ব্যবহার করে এই বছরে মাধ্যমিকে কম পরীক্ষার্থীর ব্যাখ্যা দিতে চাইছেন। 

কিন্তু কেন্দ্রকে পাঠানো তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১৩-১৪ সালে প্রথম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা তৃতীয় শ্রেণিতে পৌঁছালে (২০১৫-১৬) তাদের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার বেড়েছিল যা সম্ভবত উপরের ক্লাসগুলি থেকে কিছু পড়ুয়া যোগ হওয়ার জন্য। সেই বারো লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার। অর্থাৎ, দশ জনে ছজনও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারল না। 

অতীতের বছরগুলিতে এই অনুপাত ছিল ষাট শতাংশের সামান্য বেশি- ষোলো লক্ষের মতো ছাত্রছাত্রী স্কুলের পাঠ শুরু করত, শেষ করত প্রায় সাড়ে দশ লক্ষ। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে 'উধাও' হয়ে গেল কমবেশি ছ’লক্ষ পড়ুয়া। বোঝাই যাচ্ছে, ব্রাত্যবাবুদের ছেঁদো যুক্তিতে চিড়ে ভিজছে না। মূল গলদ শিক্ষাকে তৃণমূলের নেতৃত্বে দুয়োরানী বানিয়ে রাখার পিছনে লুকিয়ে আছে।

তাহলে ছাত্রছাত্রীরা উধাও হচ্ছে কেন? হুগলি জেলায় বিভিন্ন স্কুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু কথা এখানে তুলে ধরা যেতেই পারে। আসলে শিক্ষা দপ্তর মিড-ডে মিলের তদারকি নিয়ে যতটা বিচলিত, শিক্ষা নিয়ে ততখানি নয়। রাজ্য সরকার শিক্ষক শিক্ষিকাদের মিড-ডে মিলের পাহারাদার বানিয়েছে। কোভিড কাটিয়ে স্কুল খোলার পর শুধু শিশুদের পুষ্টি নিয়ে তদারকি করানো হয়েছে শিক্ষকদের। যে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো করেই স্কুলগুলিকে দেখা হচ্ছে, বিবিধ সরকারি প্রকল্পের হিসাব দাখিল করাই যেন শিক্ষকদের কাজ বলে মনে করা হচ্ছে। 

কেন বাড়ছে স্কুলছুট

উল্টোদিকে, যদি পড়াশোনা বা শিশুদের স্কুলে ফেরানোর ব্যাপারে শিক্ষা দপ্তর সুনির্দিষ্ট কোনও নীতি গ্রহণ করত তাহলে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ত না। আগে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য স্কুল পরিদর্শন করতেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এখন সে সব বন্ধ। মাঝে মধ্যে মিড-ডে মিলের জন্য মাঝে মাঝে এবং কোনও বিরোধী দল বন্‌ধ ডাকলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতি যাচাই করতে স্কুল পরিদর্শন হয়। অথচ শিক্ষা দপ্তর শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে উদাসীন। অনেকেরই মনে আছে, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল খোলে। কয়েক মাস যেতে না যেতেই গরমের অজুহাতে সরকার টানা প্রায় দু'মাস অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করে। টানা ছুটির কারণেও স্কুলছুট বেড়েছে।

একটা উদাহরণ এখানে প্রাসঙ্গিক। চলতি বছরে হুগলির আরামবাগের নারায়ণপুর জুনিয়র হাই স্কুল পুরোপুরি পড়ুয়াশূন্য। ২০১২ সাল স্কুলটি চালু হয়। তখন একশো'রও বেশি ছাত্রছাত্রী ছিল। আমরা, এসএফআই, খোঁজ নিয়ে জানলাম যে শুরুতে সমস্ত স্তরে আবেদন করেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক মেলেনি। দুজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে অতিথি-শিক্ষক হিসেবে চুক্তিতে নিয়োগ করে ক্লাস অনিয়মিতভাবে চালানো হচ্ছিল। কিন্তু পরে শিক্ষক যখন মিলল, ততক্ষণে যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গেছে। আর পড়ুয়া মেলেনি। 

বোঝাই যাচ্ছে, একদম পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর - পুরো সিস্টেমটাই নষ্ট করে শিক্ষা বিষয়টিকেই হিমঘরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

উচ্চশিক্ষায় মহাবিশৃঙ্খলা

এবার আসি উচ্চশিক্ষার প্রশ্নে। আজ সারা দেশেই উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে এক ধরনের প্রশাসনিক নিস্পৃহতা এবং উপেক্ষা চোখে পড়ে। আমাদের রাজ্যেও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন নতুন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। প্রচুর পদ ফাঁকা, অতিথি অধ্যাপকদের দিয়ে দিনের পর দিন ক্লাস চালিয়ে নেওয়া প্রবণতা চরম আকার নিয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত দুরবস্থার দিকে কারও লক্ষ্য নেই। সম্প্রতি উপাচার্য নিয়ে একটা আপাত সমাধান হলেও তা স্থায়ী নয়। উপাচার্য না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারেন না। ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। প্রবণতা বাড়ছে এই রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে পড়াশোনার জন্য চলে যাওয়া। বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন ফাঁকা পড়ে থাকছে কলেজের আসন। শিক্ষার চালু ব্যবস্থাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অচল করে, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে উচ্চশিক্ষার কফিনে পেরেক পোঁতার কাজটি সুচতুরভাবে এই সরকার চালিয়ে যাচ্ছে। 

কলেজগুলিতে দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদের নির্বাচন না করে তোলাবাজদের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। কলেজে কলেজে বিভিন্ন ফেস্টের নামে টাকার লুঠ চলছে। ছাত্রছাত্রীদের থেকে ভর্তির সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবে আদায় করা হচ্ছে টাকা। 

তৃণমূলের বিরোধী ছাত্রছাত্রীদের দৈহিক হেনস্থার পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। কলেজের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র লুণ্ঠিত; ছাত্রছাত্রীদের দৈনিক ও প্রয়োজনীয় দাবিদাওয়া নিয়ে কোনও আন্দোলন নেই। কলেজের পরিচালন সমিতিতে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে আরাবুলের মতো দুষ্কৃতীকে। ছাত্রছাত্রীদের সামনেই শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার শিকার হচ্ছেন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। 

কলকাতা পৌরনিগমের দুই তৃণমূল প্রতিনিধিকে সরাসরি দেখা গিয়েছিল যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে হেনস্তা করতে। ক্ষমতায় জাঁকিয়ে বসা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম জগ ছুঁড়ে মারলেন কলেজের অধ্যাপিকা দেবযানী দে'কে। রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি থেকে অধ্যক্ষ দিলীপ দে'কে প্রকাশ্যে কলার ধরে টানতে টানতে রাস্তায় নামিয়ে এনেছিলেন তৃণমূলের পঞ্চাশ বছর বয়সি তরুণ তুর্কী ছাত্র নেতা তিলক চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, 'ছোট ছেলেদের কাজ!

লকডাউন পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে এসএফআই যেমন কলকাতার রাজপথ কাঁপিয়েছিল তেমনই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতেও একইভাবে আন্দোলনে শামিল হয়েছে।

শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা, বেসরকারিকরণ

অন্যদিকে শিক্ষাকে গৈরিকীকরণের মোড়কে মুড়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পাশাপাশি, শিক্ষার অধিকার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় নয়া শিক্ষানীতির মোড়কে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাটাকেই বড়লোকদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা পাকা। 

শিক্ষাঙ্গনে নির্বাচিত সদস্যের বদলে মনোনীত কাউন্সিলের নামে একাধিপত্য কায়েমের লক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদী। আর সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করছে আমাদের রাজ্যের তৃণমূল পরিচালিত সরকার। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাকে ভয় পায় দিদি - মোদীর সরকার। আর তাই আমরা, সারা রাজ্যের এসএফআই কর্মীরা, শিক্ষাঙ্গনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, দ্রুততার সঙ্গে সমস্ত কলেজে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচন, শিক্ষার গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে, শিক্ষাকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে স্কুলছুটদের আবার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার সরকারি উদ্যোগের দাবিতে, কলেজ-স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি', টিউশন ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দাবি নিয়ে আগামী ১০ মার্চ রাজ্যে বিধানসভা অভিযান করতে চলেছে। 

ভারতের ছাত্র ফেডারেশন তাই রাজ্যের ছাত্র সমাজকে হকের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিধানসভা অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment