পরিজনদের জীবিত পাওয়ার আশা প্রায় নেই। বিমানযাত্রীদের পরিজনরা ভেঙে পড়ছেন কান্নায়। রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে সারাদিন এমনই মর্মান্তিক দৃশ্য। এই বিমানবন্দরেই বোয়িংয়ের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৯।
মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দের এদিন সকাল ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনা হয়। যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের পরিজনদের অনেকেই চলে আসেন বিমানবন্দরে। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন দেহ মিললেও চেনা কঠিন।
রবিবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে একটি বোয়িং বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে ধার্কা মারে পাশের দেওয়ালে। নামার সময় এই অঘটনে আগুন ধরে যায় বিমানে। ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায়।
বোয়িংয়ের এই বিমানটি ১৫ বছরের পুরানো। থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিলেন যাত্রীরা। মুয়ান দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল থেকে ২৮৮ কিলোমিটার দূরে।
বিমান থেকে দুই যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ৪টে নাগাদ বিমানবন্দ কর্তৃপক্ষ জানায় যে ২২ জনের পরিচয় নির্দিষ্ট করা গিয়েছে। তাঁদের নাম ঘোষণা হতেই বেদনা আর আর্তিতে ছেয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরের লাউঞ্জ।
এর মধ্যেই ধৈর্য হারাতে থাকেন সকাল থেকে অপেক্ষারত অন্য যাত্রীদের পরিজনরা। রব শোনা যায়, ‘বাকি নাম বলুন। আর কতক্ষণ, আর কতক্ষণ’।
মুয়ান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ২২ জনের পরিচয় নির্দিষ্ট করা গিয়েছে আঙুলের ছাপ থেকে। এঁরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। সন্ধ্যায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরিজনদের জানিয়েছে যে মোট ৬৫ জনের পরিচয় বোঝা গিয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানিয়েছে ভারতও। সিওলে ভারতের রাষ্ট্রদূত শোকবার্তায় বলেছেন, ‘‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। এই কঠিন সময়ে পাশে থাকবে ভারত’’।
এদিন সকালে দুর্ঘটনার কিছু পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে খারাপ আবহাওয়া এবং পাখির ঝাঁকের ধাক্কার কারণে এই দুর্ঘটনা। কারণ যদিও নিশ্চিত করা যাবে বিশদ তদন্তের পর।
Muan Plane Accident
মৃত ১৭৯, মুয়ান বিমানবন্দরে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন পরিজনরা
×
Comments :0