চোখ রাঙানির মুখে অনড় রয়েছেন সরকারি কর্মীরা। প্রতিবাদে অটল রয়েছে শিক্ষকরাও।
সরকারি কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্তদের বিভিন্ন সংগঠনের ডাকে চলছে ধর্মঘট। নবান্ন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। জারি করেছে নির্দেশিকা। তবে লড়াইকে টলানো যায়নি।
শুক্রবার সকাল এগারোটাতেও নবান্ন প্রায় ফাঁকা। সরকারি দপ্তর এবং অন্য বিভিন্ন কার্যালয়ের সামনে কর্মীরা জমায়েত করেছেন ধর্মঘটের সমর্থনে চলছে প্রচার। কলকাতা কর্পোরেশনের সামনেও পিকেটিংয়ে রয়েছেন কর্মচারীরা।
কেবল প্রাপ্য ডিএ বা মহার্ঘভাতা নয়। সাড়ে ৬ লক্ষ শূন্যপদে নিয়োগ এবং সরকারি দপ্তরে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবিতেও চলছে ধর্মঘট।
মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীরা আন্দোলন ভাঙতে নানা কৌশল নিয়েছেন। বকেয়ার ডিএ না দেওয়ার জন্য টাকার অভাবকে দায়ী করেছেন কখনও। কখনও আবার বলেছেন ডিএ দিয়ে দিয়েছি।
কোটি কোটি টাকা খরচ করে কর্মীদের বিরুদ্দে মামলা লড়েছে রাজ্য। কিন্তু ডিএ মেটায়নি। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। আদালতকে অগ্রাহ্য করে কর্মীদের বকেয়া রেখে দেওয়া হয়েছে। উলটে তাঁদের শাসানো হচ্ছে।
কর্মচারীদের শো-কজ করার চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। কর্মচারীরা বলেছেন, উত্তরে পরিষ্কার বলা থাকবে যে তাঁরা ধর্মঘটেই যোগ দিয়েছেন। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে পালটা আইনি নোটিশ ই-মেল করে পাঠিয়েছে ধর্মঘটী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মচারীদের সংগঠন পঞ্চায়েত যৌথ কমিটি।
রাজ্যের যুক্তির তীব্র নিন্দা করেছে বামফ্রন্ট। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেছেন, চাকরিতে ছেদের মতো ব্যবস্থা রাজ্য নিতে পারে না। ধর্মঘটের অধিকার সরকারি কর্মচারীদের রয়েছে।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, নাগপুরে আরএসএস’র দপ্তরের তৈরি ব্লু প্রিন্টে চলছে এ রাজ্যের সরকার। বিরোধী, প্রতিবাদী স্বর দমনের নকশা করেছে আরএসএস-বিজেপি। এ রাজ্যে সেই নকশা প্রয়োগ করছে তৃণমূল। সেই জন্যই শিক্ষক, কর্মচারীদের হুমকি।
Comments :0