ফের লালঝান্ডা খুলে নিয়ে মিছিলে লোক হাঁটালো বিজেপি। বুধবার পোলবার একটি এলাকায় এই কান্ডের কড়া প্রতিবাদ করেছে সিপিআই(এম)। কিছুদিন আগেই হুগলীরই হারিটে এই কান্ড ঘটিয়েছিল বিজেপি।
বিজেপি’র পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। তাই লাল ঝান্ডাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে। বিজেপি যা করছে তা ঘৃণ্য রাজনীতি, বামপন্থীদের কালিমালিপ্ত করার জন্য। লালঝাণ্ডা নিয়ে বিজেপি’র মিছিল করার কড়া প্রতিবাদে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) হুগলী জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ।
হারিটের পর সুগন্ধা পঞ্চায়েতেও বিজেপি’র ডেপুটেশনে দেখা গিয়েছে সিপিআই(এম)’র পতাকা। বিজেপি’র ডেপুটেশন ছিল বুধবার। আবাস যোজনার দাবিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল বিজেপি। পোলবার সুগন্ধা এলাকায় সিপিআই(এম)’র পতাকা হাতে বিজেপি’র ডেপুটেশনে দেখা যায় দু’জনকে। বিজেপি’র কর্মসূচিতে সিপিআই(এম)’র পতাকা দেখতে পাওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই ‘দু’পক্ষে সমঝোতার’ প্রচার করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ।
লালঝান্ডা ছিল যাদের হাতে, এলাকার পার্টিকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই বলেছেন, তারা কোনোদিন সিপিআই(এম) করত না, এখনও করে না।
অচেনাদের হাতে দলীয় পতাকা দেখেই ষড়যন্ত্র টের পান স্থানীয় পার্টিকর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদও করেন। সুগন্ধা এলাকার পার্টিকর্মী শতদ্রু দাস সিপিআই(এম)’র পতাকা কেড়ে নেন। এলাকায় কর্মসূচির জন্য লাগানো হয় পতাকা। এর আগে হারিটেও হয়েছে এই কারবার।
আবাস দুর্নীতি থেকে রেগার জব কার্ডের মতো গ্রামজীবনের একগুচ্ছ যন্ত্রণা নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীরা। বিজেপি কেন নকল বিরোধী একের পর এক জনসভায় তার প্রচার করছে পার্টি। তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদই কেবল নয়, তার নমুনা একের পর এক হাজির করছেন বামপন্থীরা। পুলিশের নিপীড়নের মুখেও পড়তে হচ্ছে লালঝান্ডাকেই।
এই সময়েই বিজেপি নানাভাবে বামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতার প্রচারে নেমেছে। বামপন্থী নেতৃবৃন্দ যদিও বলেছেন যে মানুষ ধোঁকা খাবেন না। বিজেপি নতুন কৌশলে লালঝান্ডা নিয়ে লোক হাঁটাচ্ছে নিজেদের মিছিলে। এই প্রচারে সঙ্গত দিচ্ছে সংবাদমাশধ্যমের একাংশ। হাঁটানো হচ্ছে যাঁদের তাঁদের কাউকে কোনওদিন কোনও বামপন্থী দলের সঙ্গে দেখেননি মানুষ।
Comments :0