বিরোধী নেতাদের হেনস্তা, আদানি গোষ্ঠীকে আড়ালে তৎপরতা থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের আমলে যেভাবে শাসক দলই সংসদকে অচল করে দিচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে তীব্র করা হচ্ছে, কড়া ভাষায় তার নিন্দা করল সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। গত ২৫ ও ২৬ মার্চ নয়াদিল্লিতে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় একেজি ভবনে বৈঠকে বসেছিল পলিট ব্যুরো। সেই বৈঠকের আলোচনার ভিত্তিতে সোমবার এক বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছে বর্তমান শাসক দল ও সরকারের কাজকর্মের। এই সঙ্গেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বৈঠক হবে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির।
বিরোধী নেতাদের নিগ্রহ
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাদের নিশানা বানিয়ে তাঁদের সাংসদ পদ কেড়ে নিতে বিজেপি যেভাবে ফৌজদারি মানহানিকে ব্যবহার করেছে, পলিট ব্যুরোর বৈঠকে তার নিন্দা করা হয়েছে। বিজেপি যে সমালোচনার প্রশ্নে মারাত্মক অসহিষ্ণু এবং জঘণ্য স্বৈরাচারী চরিত্রের দল, রাহুল গান্ধীর কারাদণ্ডে এবং সাংসদপদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে তৎপরতায় তার স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে নির্লজ্জভাবে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলগুলির বহু নেতাকে হেনস্তা করা হয়েছে। পাশাপাশি তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে বিজেপি-আরএসএস বেশ কিছু রাজ্যে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করেছে। আপ নেতা ও দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তিনি এখন জেলে। আরও যাঁদের ইডি ও সিবিআই-কে দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব, তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যরা, বিআরএস’র কবিতা প্রমুখ।
কাঠগড়ায় আদানি
পলিট ব্যুরো বিবৃতিতে বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে ভারতকে শাসন করছে কর্পোরেট বা বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির আঁতাত। তার ন্যক্কারজনক রূপ প্রকাশ করে দিয়েছে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার সময়ে আদানি গোষ্ঠীর বাজারী মূলধন ছিল ৭১০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার কোটি ডলার। ২০১৪ সালে বিশ্বের ধনীশ্রেষ্ঠদের তালিকায় আদানি ছিলেন ৬০৯ নম্বরে। ২০২২ সালে সেই তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। আদানি গোষ্ঠীর সমস্ত অপকর্মকে কোনও রকম লজ্জাশরম ছাড়াই আড়াল করে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ধান্দাবাজ পুঁজিপতিদের সঙ্গে এই সরকারের আঁতাতই স্টেট ব্যাঙ্ক এবং এলআইসি’র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জনগণের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটের পথ প্রশস্ত করেছে। আদানিকাণ্ডে কোনও ধরনের তদন্তের দাবিকে যেভাবে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, তাতেই তা স্পষ্ট। আগেই দাবি উঠেছে, আদানি গোষ্ঠীর অপকর্মের তদন্তে গঠন করতে হবে যৌথ সংসদীয় কমিটি। পলিট ব্যুরো ফের সেই দাবি জানাচ্ছে। দেশের আইন অনুসারে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।
সংসদ অচল বিজেপি‘র জন্য
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকার সময়ে এই বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপি’র সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে উল্কার গতিতে। তা নিয়ে কোনও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চায় না বলেই বিজেপি অত্যন্ত উদ্ধত ভঙ্গিতে আদানি গোষ্ঠীর অপকর্ম নিয়ে সংসদে আলোচনা বা যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আদানি গোষ্ঠীকে আড়াল করতেই ভারতীয় গণতন্ত্র সম্পর্কে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে নজিরবিহীনভাবে সংসদকে অচল করেছেন শাসক দলের সদস্যরা। এমনকী এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিতর্ক ছাড়া গিলোটিনে ফেলে অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটও।
সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের মর্যাদাহানি
পলিট ব্যুরো বিবৃতিতে বলেছে, সংসদকে অচল করে দেওয়া ছাড়াও বিচারব্যবস্থাকে ক্রমাগত আক্রমণ করে যাওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী এবং উপ রাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ একের পর এক বিবৃতি দিয়ে সেই কাজ করে চলেছেন। বিচারব্যবস্থার উপরে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরোপের যে কোনও চেষ্টাকে প্রতিহত করতেই হবে। রাজ্যপালরাও অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিজেপি’র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে ভূমিকা পালন করছেন।
তীব্র সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির সদস্যদের উপরে সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। স্বঘোষিত গোরক্ষকরা মুসলিম যুবকদের খুন করে চলেছে অবলীলায়। বিভিন্ন রাজ্য থেকে গির্জা এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্য, বিশেষত খ্রিস্টান আদিবাসীদের উপর আক্রমণের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ছড়ানো হচ্ছে নানা মিথ্যা, ইতিহাসের নামে অসত্য তথ্য। যখনই কোনও রাজ্যে নির্বাচন আসন্ন হচ্ছে, তখনই সেখানে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের লক্ষ্যে এই ধরনের কার্যকলাপ বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কর্নাটকের বিজেপি সরকার অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের (ওবিসি) ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ বাতিল করে দিয়েছে। ওই রাজ্যে নির্বাচনের মুখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ এবং নির্যাতনও ব্যাপক মাত্রায় বাড়ছে।
অর্থনৈতিক বোঝা ক্রমবর্ধমান
কোনও বিতর্ক ছাড়াই যেভাবে সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে, পলিট ব্যুরোর বৈঠকে তার নিন্দা করা হয়েছে। বিবৃতিতে এই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দেশে অর্থনৈতিক অধোগতি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে নজর দিতে বাজেট সম্পূর্ণ ব্যর্থ। উলটে এই বাজেটে কোষাগারীয় ঘাটতি কমাতে সরকারি ব্যয় ছাঁটাই করা হয়েছে, ধনীদের আরও কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এমন এক সময়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এহেন বাজেট উপস্থাপন করেছে, যখন অক্সফামের রিপোর্ট জানিয়েছে, গত দুই বছরে দেশে যা সম্পদ তৈরি হয়েছে, তার ৪০.৫ শতাংশই কুক্ষিগত করেছে ধনীতম ১ শতাংশ। স্পষ্টত এই বাজেট অর্থনীতিকে আরও সঙ্কুচিত করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটকেই তীব্র করবে। এর মধ্যেই রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে জনগণের উপর বোঝা বাড়িয়েছে মোদী সরকার। পাশাপাশি বেকারত্ব ও অনাহার ক্রমবর্ধমান, দৃষ্টিকটু মাত্রায় বেড়ে চলেছে অসাম্যও।
রেগা ধ্বংসের পথে
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে (রেগা) নজরদারির জন্য যে অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, এখনই তা বাতিল করতে হবে। জানা গিয়েছে, ওই অ্যাপের কারিগরি সমস্যার জন্য রেগার শ্রমিকরা অন্তত অর্ধেক মজুরি হারিয়েছেন। রেগার শ্রমশক্তির বড় অংশই মহিলা। তাঁরা ওই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোন কিনতে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন। একেই রেগায় বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে ও মজুরি দীর্ঘ সময় বকেয়া ফেলে রাখা হচ্ছে। তার উপর এই অ্যাপ রেগাকে কার্যত অকার্যকরী করে তুলেছে।
সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচন
পলিট ব্যুরো বলেছে, মোদী সরকার তার তাঁবেদার প্রচার মাধ্যমকে দিয়ে বোঝাতে চাইছে, নির্বাচনে বিজেপি অপরাজেয়। এই প্রচার সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। আগের পর্বের বিধানসভা ভোটে বিজেপি গুজরাটে সরকার ধরে রাখতে পারলেও হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতা হারিয়েছে, ১৫ বছর পরে হেরেছে দিল্লি পৌর নিগমের ভোটেও। আর একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের ভোটে মোট ১৮০টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে মাত্র ৪৬টিতে। ত্রিপুরায় দলের বিধায়ক সংখ্যা ৪৬ থেকে কমে হয়েছে ৩২। নাগাল্যান্ডে দল ১২টি আসন জিতে হয়েছে দ্বিতীয়। মেঘালয়ে বিজেপি জিতেছে মাত্র দু’টি আসনে এবং রাজ্যের বাকি ৫৮টি আসনেই দলের প্রার্থীরা শুধু হারেননি, খুইয়েছেন জামানত। ত্রিপুরায় ৩৮.৯৭, নাগাল্যান্ডে ১৮.৮১ এবং মেঘালয়ে ৯.৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। তবে স্থানীয় স্তরের আঞ্চলিক দলগুলির হাত ধরে ওই তিন রাজ্যেই সরকার গড়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের পুণে জেলার কসবা পেঠ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে দুই দশক পরে বিজেপি হেরে গিয়েছে, জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি বিধানসভা আসনেও উপনির্বাচনে শাসক তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। ২০১১ সাল থেকে ওই আসনে জিতে এসেছে তৃণমূল। ২০২১ সালে বিজেপি’র প্রার্থীকে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে ওই আসনে তৃণমূল জিতেছিল। এবারের উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে এবং বিজেপি-কে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে সেখানে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে জিতেছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন
পলিট ব্যুরোর বৈঠকে ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের ফলাফলের প্রাথমিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে তা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ওই রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দলগুলিকে ঠিক মতো প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। গত ৫ বছর ধরে তাদের উপর ক্রমাগত আক্রমণ চালানো হয়েছে সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করার লক্ষ্যে। এই সব সন্ত্রাস ও শারীরিক হামলার মুখে দাঁড়িয়েও বহু মানুষ বিরোধী দলগুলিকে ভোট দিয়েছেন। ভোটের ফল ঘোষণার পরেও বিরোধীদের উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে, যা প্রত্যাশিতই ছিল। সিপিআই(এম)-ই তার মূল লক্ষ্য। এখনও সেই আক্রমণ অব্যাহত। বিবৃতিতে এই আক্রমণের কড়া নিন্দা করে পলিট ব্যুরো বলেছে, ত্রিপুরায় ফল প্রকাশের পরে হাজারেরও বেশি বিভৎস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমনকী পরিস্থিতি দেখতে সিপিআই(এম), সিপিআই এবং কংগ্রেসের সাত সাংসদের প্রতিনিধিদল ওই রাজ্যে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতেই তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি-আরএসএস। বিজেপি সরকারের আমলে ওই রাজ্যের অবস্থা যে কতটা বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে, এই ঘটনা তার প্রমাণ।
লক্ষ্য কেরালার এলডিএফ
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেরালার এলডিএফ সরকারও বিজেপি’র আক্রমণের লক্ষ্য। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কুৎসা করা হচ্ছে। তার কড়া নিন্দা করে পলিট ব্যুরো বলেছে, কেরালায় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ-ও বিজেপি’র তালে তাল দিয়ে একই ধরনের কাজ করছে। কেরালাবাসী এর উপযুক্ত জবাব দেবেন।
জনগণের লড়াই
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সারা দেশেই জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে লড়াই-সংগ্রাম তীব্র হচ্ছে। গত ২০ মার্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা দিল্লির রামলীলা ময়দানে সাফল্যের সঙ্গে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত সংগঠিত করেছে। বিরাট সংখ্যায় কৃষিজীবী মানুষ তাতে যোগ দিয়েছেন। ওই মহাপঞ্চায়েত থেকে কৃষিতে ক্রমবর্ধমান কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র কিষাণ সভা এই মাসের ১২ তারিখে নাসিক থেকে মুম্বাই তৃতীয় লঙ মার্চের ডাক দিয়েছিল। মুম্বাইয়ে পৌঁছানোর আগেই রাজ্যের শিন্ডে-বিজেপি সরকার পেঁয়াজে কুইন্টাল প্রতি সাড়ে তিনশো টাকা ভরতুকি ও ৮৮ হাজারের বেশি কৃষকের ঋণ মকুব সহ সমস্ত দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যে বিদ্যুৎ কর্মীরাও ধর্মঘটে শামিল হয়ে বিজেপি সরকারকে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সামনে নতি স্বীকারে বাধ্য করেছেন। সেই সঙ্গে দেশের নানা প্রান্তে এই সময়ে ধর্মঘট করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং প্রকল্প কর্মীরা। আগামী ৫ এপ্রিল মজদুর-কিষাণ সংসদ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সিপিআই(এম) ওই কর্মসূচিকে সমর্থন করছে। পলিট ব্যুরোর বৈঠকে ওই কর্মসূচির প্রতি দৃঢ় সংহতি জানানো হয়েছে।
Comments :0