বেপরোয়া ডাম্পারের দৌরাত্ম্য রুখতে প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের। অভিযোগ মালবাজার শহরের উপর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ডাম্পার বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। শনিবার রাতে শহরের বাসিন্দারা ডাম্পার আটকে বিক্ষোভ দেখায়। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত একাধিক সাংবাদিক।
শনিবার ডাম্পারের দৌরাত্ম্য রুখতে প্রতিবাদ করে মালবাজার শহরের সাধারণ মানুষ। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁরা অভিযোগ করেন ঝড়ের গতিতে বাড়তি মাল চাপিয়ে ডাম্পার চলছে রাস্তা দিয়ে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। সেই খবর সংগ্রহ করার জন্য রীতিমত রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় সাংবাদিকদের। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত চারজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। অভিযোগের তির ডাম্পারের চালক এবং মালিকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এই সমস্ত ঘটনা ঘটোেছে বিশাল পুলিশ বাহিনীর সামনে। পাশাপাশি যেখানে সাংবাদিকদের মারধর করা হলো তার সামনেই রয়েছে মালবাজার থানা। আরও অভিযোগ সাংবাদিকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও মারধর করা হয়। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। এই গুন্ডামি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। সাংবাদিক হেনস্থার প্রতিবাদে রাতভর মালবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান মাল শহরের বাসিন্দারা। জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডাবাহাল এই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে একাধিক ডাম্পারে করে বালি পাচার হচ্ছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় সাংবাদিকদের। এ নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডাবাহাল জানান, ঘটনার ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালবাজার শহরে। সাংবাদিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে এই হামলা ঘিরে। ঘটনার নিন্দা করেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র।
Comments :0