IIT seat SC

টাকার অভাবে হাতছাড়া আইআইটি’র আসন, দলিত ছাত্রকে ভর্তির নির্দেশ

জাতীয়

মাত্র পনেরো মিনিটের এদিক-ওদিক। টাকা জোগার করে অনলাইনে দিয়ে উঠতে পেরিয়ে গিয়েছিল সময়। বাতিল হয়ে গিয়েছিল আইআইটি’র তালিকা থেকে নাম। দলিত পরিবারের কৃতী সেই ছাত্রকে আইআইটি ধানবাদে ভর্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টে।
আদালতে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান আইআইটি’র পক্ষে ভর্তির কড়া বিরোধিতা করা হয়। যুক্তি দেওয়া হয়, অনলাইনে শেষ সময়ের ঘন্টা দুয়েক আগেই লগ-ইন করেছিল ছাত্র। তাছাড়া, টাকা দেওয়ার কথা ছিল আরও আগে, ইন্টারভিউর দিনই।
সেই যুক্তি বাতিল করেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। বিচারপতিরা পালটা প্রশ্ন করেছেন আইআইটি’র আইনজীবীকে, একজন দরিদ্র মেধাবী ছাত্রের ভর্তিতে এমন কড়া বিরোধিতা করে চলেছেন কেন? টাকা জমা দিতে বলেছলেন ঠিক, কেন জোগার করতে পারেনি সেটিও তো দেখা উচিত। একজন যোগ্য ছাত্রের ভর্তি যাতে টাকা অভাবে আটকে না যায় দেখা উচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ধানবাদে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন পেয়েছিল ওই ছাত্র। সেটিতেই ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে আইআইটি-কে। তার জন্য বিশেষ আসন প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করে করতে হবে।  

দরকার ছিল ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। দিনমজুরের ছেলে কৃতী হলেও ভর্তির এই টাকাও ছিল না হাতে। টাকা জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২৪ জুন বিকেল ৫টা। তার ১৫ মিনিট আগে টাকা জোগার হলেও অনলাইনে দিয়ে ওঠার আগেই মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। উত্তর প্রদেশের দলিত দিনমজুর পরিবার দারিদ্রসীমার নিচেই। এই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি কেউ। প্রশ্ন উঠেছে, এমন পরিবারের সন্তানদের কেন অর্থের অভাবে আটকে যাবে পড়ার সুযোগ। আদালতেই বা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রের ভর্তির নির্দেশ আটকাতে এমন উঠেপড়ে লাগবে কেন।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, ‘‘এমন কৃতী ছাত্রের পড়ার সুযোগ হাতছাড়া হোক, আমরা হতে দিতে পারি না।’’ তালিকায় নাম চূড়ান্ত হওয়া আর টাকা জমার সময়সীমার মাঝে তিন মাস কেবল এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তর ঘুরেছে পরিবার। এসএসটি কমিশন, হাইকোর্ট- কোথাও সুরাহা না পেয়ে আবেদন জমা করেছিল সুপ্রিম কোর্টে।

Comments :0

Login to leave a comment