ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীদের উপরে হামলার নিন্দা করে তৃণমূলের জমি হাঙরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করার আহবান জানিয়েছেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শনিবার ভাঙড়ের ঘটনা সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ভাঙড়ে বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি, আইএসএফ কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপরে তৃণমূলের হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আইএসএফ’র ১৮ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। ভাঙড়ে বারবার তৃণমূলের তরফে হামলা চালানো হচ্ছে। জমি দখল করার জন্য জমি হাঙররা চেষ্টা করছে। জলাশয় ভরিয়ে প্রোমোটিং করার জন্য সিন্ডিকেটের দখলদারির উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হচ্ছে। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি নিতে আহ্বান করছি। ভাঙড়েই এই হামলার বিরুদ্ধে বড় আকারে প্রতিবাদ সংগঠিত হবে।’’
অশান্তির জন্য আরাবুল ইসলামের সঙ্গে নৌশাদ সিদ্দিকির দায়িত্বের তুলনা করে এদিন সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করলে মহম্মদ সেলিম এই তুলনাকে অন্যায্য বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাঁর দল আইএসএফ’র জনসভা করার অধিকার আছে। তাতে আক্রমণের অধিকার আরাবুল আর তার বাহিনীর আছে কি? কলেজ শিক্ষিকাদের জগ ছোঁড়া, মহিলা সাংবাদিকদের সঙ্গে অভব্য আচরণে অভিযুক্ত আরাবুল ইসলামের সঙ্গে কাদের তুলনা করছেন? তৃণমূল আরাবুলকে দলের সম্পদ মনে করে, পার্থ চ্যাটার্জি সেই কথাই বলেছিলেন। কিন্তু রাজ্যের মানুষ এই আপদ বিদায় করবেন।’’
রাজ্যে ঘনঘন বিভিন্ন জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে সেলিম বলেছেন, ‘‘বগটুইতে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের ডিজি’কে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে বলেছিলেন প্রকাশ্যে। তারপরেও এত বোমা পাওয়া যাচ্ছে কী করে! পুলিশ কি মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনছে না, নাকি শাসক দলের জন্য আলাদা বন্দোবস্ত করা হয়েছে!’’ পঞ্চায়েত ভোট আসছে বলেই তৃণমূলের অস্ত্রসম্ভার কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সেলিম বলেন, ‘‘মানুষ খেপে ওঠায় তৃণমূলের যা অবস্থা, তাতে বোমা-বন্দুক জড়ো করলেও সেগুলো হাতে ধরার মতো তৃণমূল খুঁজে পাওয়া যাবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।’’
Comments :0