অভীক ঘোষ
কর্মসূচি বিজেপি’র। পোলবার সুগন্ধ্যা এলাকায় ডেপুটেশন। তার মধ্যে জনা দুয়েকের হাতে লাল পতাকা। কী হচ্ছে বুঝতে দেরি হয়নি স্থানীয় পার্টিকর্মীদের, বেশিরভাগই ছাত্র-যুব। নিজেদের পতাকা কেড়েই আনলেন তাঁরা।
সিপিআই(এম) কর্মী শতদ্রু দাস বলেছেন, পার্টির পতাকা নিয়ে এমন কাজ কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। পুরোটাই বিজেপি’র সাজানো। হুগলী জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘সিপিআই(এম)’র কোনও কর্মী বা বামপন্থী গণসংগঠনের কেউ বিজেপি’র মিছিলে হাঁটেননি। বিজেপি ঘৃণ্য রাজনীতি করছে।’’
হারিটের পর সুগন্ধা পঞ্চায়েতেও বিজেপি’র ডেপুটেশনে দেখা গিয়েছে সিপিআই(এম)’র পতাকা। বিজেপি’র ডেপুটেশন ছিল বুধবার। আবাস যোজনার দাবিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল বিজেপি। পোলবার সুগন্ধা এলাকায় সিপিআই(এম)’র পতাকা হাতে বিজেপি’র ডেপুটেশনে দেখা যায় দু’জনকে। বিজেপি’র কর্মসূচিতে সিপিআই(এম)’র পতাকা দেখতে পাওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই ‘দু’পক্ষে সমঝোতার’ প্রচার করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ।
লালঝান্ডা ছিল যাদের হাতে, এলাকার পার্টিকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই বলেছেন, তারা কোনোদিন সিপিআই(এম) করত না, এখনও করে না।
অচেনাদের হাতে দলীয় পতাকা দেখেই ষড়যন্ত্র টের পান স্থানীয় পার্টিকর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদও করেন। সুগন্ধা এলাকার পার্টিকর্মী শতদ্রু দাস সিপিআই(এম)’র পতাকা কেড়ে নেন। এলাকায় কর্মসূচির জন্য লাগানো হয় পতাকা। এর আগে হারিটেও হয়েছে এই কারবার।
দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘গত নির্বাচন থেকেই বিজেপির ভোটের ফল তলানিতে ঠেকেছে। সংগঠনও নষ্ট হয়েছে বুথে বুথে, তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি। যে বিজেপি বামপন্থীদের সব সময় ক্ষতি করতে চায় তাদের সঙ্গে কোনও রকম বোঝাপড়া কখনই হবে না। রাস্তার ধারে থাকা সিপিআই(এম)’র ঝান্ডা নিয়ে বিজেপি তার মিছিলে লোক ঢুকিয়ে দেখাতে চাইছে তাদের সঙ্গে সিপিআই(এম) আছে। এটা একটা ঘৃণ্য রাজনীতি। বিজেপি জগন্নাথ বাটি এলাকায় সিপিআই(এম) কার্যালয়ের কাছে লাগানো ঝান্ডা খোলে।’’
বিজেপির কর্মসূচিতে সিপিআই(এম)’র পতাকা দেখতে পায়ে সুগন্ধা এলাকার পার্টিকর্মী শতদ্রু দাস পতাকা কেড়ে আনেন। ছাত্র-যুব কর্মীরা এগিয়ে প্রতিবাদ করেন। জেলা সম্পাদক বলেছেন, ‘‘দেখা মাত্র প্রতিবাদ করে ছাত্র-যুব কর্মীরা ঠিক কাজ করেছেন। আজ সুগন্ধা এলাকায় প্রতিরোধ হয়েছে। আগামী দিনে জেলার কোথাও এমন ঘটনা যেন না ঘটাতে পারে তার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমাদের লড়াই করতে হবে।’’
সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য মনোদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ক’দিন আগে দাদপুরে করেছে, আজ এখানে করল। আমাদের রাজ্যের রাজনীতিতে সংস্কৃতি ছিল না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাবো।’’
Comments :0