Sitaram Yechury attack BJP

কর্তৃত্ববাদী অপশাসনকে প্রতিহত, পরাজিত করার ডাক ইয়েচুরির

জাতীয়

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি’র নিন্দায় সরব হলেন সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ইডি এবং সিবিআইকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা চলছেই। এবার নতুন আক্রমণ মানহানির মামলার রাস্তায়।’’
তিনি বলেন, ‘‘অপরাধমূলক মানহানির মামলা দায়ের করে বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের সদস্য পদ খারিজ করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সেই কৌশল প্রয়োগ করা হলো। বিজেপি’র এই ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়’। 


২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের সময় রাহুলের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুরাটের আদালত রাহুলকে দু’বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষাণা করেছে। সেই রায়ের ভিত্তিতেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। 


লোকসভার সচিবালয় থেকে যেই বিজ্প্তিঞ জারি করা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১) ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। 


১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের দুটি ধারার খাতায় কলমে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। ওই আইনের ৮(৩) ধারায় বলা রয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই আর জনপ্রতিনিধি থাকতে পারেন না। কিন্তু ওই আইনেরই ৮(৪) ধারায় আবার বলা হয়েছে, সাজা ঘোষণার সময় যদি কেউ জনপ্রতিনিধি থাকেন, তা হলে পরবর্তী তিন মাস বা উচ্চতর আদালতে সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদনের নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে না।

সুরাটের আদালত সাজা ঘোষণার সঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের জন্য ৩০ দিন সময়ও দিয়েছে রাহুলকে। ইয়েচুরির স্পষ্ট করেই বলেছেন যে বিষয় কেবল আইনের নয়। বিরোধীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাকে ব্যবহার করা হচ্ছে জনপ্রতিনিধির পদ কেড়ে নেওয়ার জন্য। সংসদের চলতি অধিবেশনেই রাহুল গান্ধীকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেননি লোকসভার অধ্যক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে যদিও কেন্দ্রের মন্ত্রীদের বলতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সংসদের দু’কক্ষেই। বিরোধীদের ওপর এমন একতরফা আক্রমণ সরাসরি সংসদের ভেতরেই, এমন নজির খুব বেশি দেখাতে পারছেন না সংসদীয় রীতি বিশেষজ্ঞরা। এই কর্তৃতববাদী অপশাসনকে প্রতিরোধ করা এবং পরাজিত করার ডাক দিয়েছেন ইয়েচুরি।

Comments :0

Login to leave a comment