Flood Teesta

ফুঁসছে তিস্তা, বন্যার আতঙ্ক জলপাইগুড়িতে

জেলা

চলছে মাইকে প্রচার, তিস্তা, জলঢাকা নদীর অববাহিকায় জারি করা হয়েছে হলো লাল সতর্কতা।।

আজও ফুঁসছে তিস্তা। চিন্তায় ঘুম উড়েছে নদী সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দাদের। মাইকিংয়ে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। 

রবিবার তিস্তা নদীর দোমহানী  থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত এবং  এনএইচ ৩১ জলঢাকা নদীর মাথাভাঙ্গার পাশাপাশি মেখলিগঞ্জ বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা অব্যাহত বলে জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর সেন্ট্রাল ফ্ল্যাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়। তিস্তা নদীর দোমহানী এবং এনএইচ ৩১ জলঢাকা সংরক্ষিত এলাকায় জারি হলুদ সর্তকতা। জলপাইগুড়ি গোজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে রবিবার ভোর তিন টায় ৪৬১১.৯২ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা যায়। 

পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও চলছে লাগাতার বৃষ্টি, হু হু করে বাড়ছে তিস্তার জলস্তর,তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার  রাত থেকে চলছে মাইকে প্রচার। তিস্তা, জলঢাকা নদীর অববাহিকায় জারী করা হয়েছে হলো লাল সতর্কতা,
আজও ফুঁসছে তিস্তা। চিন্তায় ঘুম উড়েছে নদী সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দাদের। সজাগ জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।রবিবার তিস্তা নদীর দোমহানী  থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত এবং  এনএইচ ৩১ জলঢাকা নদীর মাথাভাঙ্গার পাশাপাশি মেখলিগঞ্জ বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা অব্যাহত বলে জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর সেন্ট্রাল ফ্ল্যাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়। তিস্তা নদীর দোমহানী এবং এনএইচ ৩১ জলঢাকা সংরক্ষিত এলাকায় জারি হলুদ সর্তকতা। জলপাইগুড়ি গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে রবিবার ভোর তিন টায় ৪৬১১.৯২ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা যায়।
শনিবার তিস্তা নদীর দোমহানীর সঙ্গে  জলঢাকা নদীর  অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করেছিল জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর আজ পরিস্থিতি আরও ঘোরালো।
সেন্ট্রাল ফ্ল্যাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়,তিস্তা নদীর দোমহানী এবং জলঢাকা সংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে লাল সর্তকতা।

শনিবার ধূপগুড়ি মহাকুমার বানাহাট ব্লকের জলমগ্ন এলাকায় পরিদর্শন করলেন এডিও পুষ্পা দোলমা লেপচা, বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করার পাশাপাশি। নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ দের সাথে তারা কথা বলেন। প্রশাসনের তরফে তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়, সেই সাথে নদীর পার্শ্ববর্তী  এলাকায় করা হচ্ছে মাইকিং।

বানারহাটের গয়েকাটার পাশাপাশি  বিন্নাগুড়ি এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এস এম কলোনি, নেতাজি পল্লী,  সুভাস পল্লী 
এলাকায় হাতিনালার জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে, সেই সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন  প্রশাসনের আধিকারিকরা,
ধূপগুড়ি মহাকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা জানানা, বিন্নাগুড়ির যে সমস্ত এলাকায় হাতিনালার জল ঢুকেছিল সেই জল নেমে গিয়েছে তবে গয়েরকাটা এলাকায়  এখনো বেশ কিছু এলাকা  জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে, সেখানকার মানুষদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

অন্যদিকে গত তিন দিনের প্রবল বৃষ্টি তে ক্রান্তি ব্লকের  কৈলাশপুর চা বাগানের  ফ্যাক্টরির পাশে মন্দিরের সংলগ্ন  রাস্তা ও স্ল্যাব ব্রিজ ভেঙে যায়,যার পরিপ্রেক্ষিতে  স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আনন্দপুর,আপালচাঁদ ফরেস্টের যাতায়াতের   যোগাযোগ ব্যবস্থা  প্রায় বিচ্ছিন্ন।এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় ওড়াও জানান অতি বর্ষণে পাকা  রাস্তার ভাঙ্গন  এবং স্ল্যাব ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছে।বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিলেন। এছাড়াও অতিবৃষ্টিতে সীদাবাড়ি এলাকায় কৃষি ফসলের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করলেন।

Comments :0

Login to leave a comment