পরিবহণ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। জনসাধারণকে সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে। বিপর্যস্ত হচ্ছেন শ্রমিক কর্মচারীরা। রাস্তায় চলছে তোলাবাজি, পুলিশের জুলুম। সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলিতে চলছে কর্মী ছাঁটাই, বেসরকারিকরণ। প্রতিবাদেসরব হয়ে শুক্রবার রাজ্য পরিবহণ দপ্তর এবং লালবাজার অভিযানে শামিল হলেন পরিবহণ শ্রমিক এবং কর্মচারীরা।
এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ইউনিয়নের ব্যানার সিআইটিইউ’র ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে মিছিলে শামিল হন প্রচুর সংখ্যক সরকারি এবং বেসরকারি পরিবহণ ক্ষেত্রের শ্রমিক কর্মচারী। মিছিলে পথ হেঁটেছেন সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ। ছিলেন সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখার্জি, পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু, নিরঞ্জন চ্যাটার্জি, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, দেবাশিস রায়, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, মহারানা প্রতাপ সিং, রাম প্রসাদ সেনগুপ্ত, মৃনাল রায় চৌধুরি, ফৈয়াজ খান, তরুণ ব্যানার্জি, কৌস্তভ চ্যাটার্জি সহ সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ।
মিছিলে দাবি ওঠে, সরকারি পরিবহণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে হাজার হাজার শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারিদের স্থায়ী করতে হবে। চুক্তি ঠিকা সহ সমস্ত অস্থায়ী কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ২৬ হজার টাকা করতে হবে।
পরিবহণ কর্মীরা বলছেন, জ্বালানির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাড়া ঠিক করার দায়িত্ব সরকারের। তা না হওয়ায় নিয়মিত যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়াতে হচ্ছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী ভাড়া সরকারি ঘোষণায় জানানোর দাবি উঠেছে। তীব্র ক্ষোভ রয়েছে পুলিশের জুলুমে। অভিযোগ, অকারণে মোটা টাকার জরিমানা নেওয়া হচ্ছে।
পরিবহণ ভবনের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী ব্যারিকেড করে মিছিল আটকায়। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ চলে। সুভাষ মুখার্জি বলেন, রাজ্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ এই ক্ষেত্রও লুট, রাহাজানি চালাচ্ছে। সরকারি পরিবহন সংস্থার অধীন জমি বিক্রি করে শিল্পপতি, পুঁজিপতিদের ফায়দা করে দেওয়া হচ্ছে। অনাদি সাহু বলেন, দাবির লড়াইকে আরও সংগঠিত করতে হবে। সভা পরিচালনা করেন সুবীর বোস। লালবাজারে ডেপুটেশনও দেওয়া হয়।
Comments :0