জয়ন্ত সাহা: মাথাভাঙা
উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট প্রতিবাদী লোক শিল্পী মনীন্দ্র বর্মন চাকরিহারাদের নিয়ে গান বেঁধে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় তৃণমূল ও শাসকদলের পুলিশের চক্ষুশূল হয়ে ঘর ছেড়ে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনা জেনেই বিশিষ্ট আইনজীবি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য গণশক্তি পত্রিকার মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছিলেন আপনাকে নিয়ে রাজ্যবাসী গর্বিত। আপনি আনন্দে গান গেয়ে যান। ফের পুলিশ যদি আপনাকে বিরক্ত করে তবে আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করুন। একই কথা তিনি শিল্পীর ফেসবুক ওয়ালেও লিখেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এভাবে কন্ঠরোধ করে রাখা অন্যায়। আপনি ঘরে ফিরে আসুন। সব রকম আইনী সাহায্য আমি দেবো। হিটলারি শাসন চলছে রাজ্যে। পুলিশের এরকম করার কোন এক্তিয়ার নেই।
এরপরই আক্রান্ত আমরার পক্ষ থেকে অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র সহ সংগঠনের তিন প্রতিনিধি রবিবার সকালে প্রতিবাদী শিল্লীর বাড়িতে গিয়ে শিল্পীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সব অভিযোগ মন দিয়ে শুনে প্রতিশ্রুতি দেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য যেমন আপনাদের আইনী সাহায্য দিতে রাজি হয়েছেন তেমনি আক্রান্ত আমরা প্রতি মুহুর্তে শিল্পী ও তাঁর পরিবারের পাশে থাকবে। অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র তাঁর ফোন নাম্বার পরিবারের কাছে দিয়ে আসেন।
আক্রান্ত আমরার প্রতিনিধিদের সামনেই শিল্পীর বাবা নারায়ন চন্দ্র বর্মন বলেন, শুনেছি বিশিষ্ট আইনজীবি বিকাশ বাবু আমার ছেলের পাশে থেকে আইনী সাহায্য দিতে চেয়েছেন। অধ্যাপ অম্বিকেশ মহাপাত্র এবং তাদের সংগঠনের সদস্যরা খবর পেয়ে কলকাতা থেকে যেভাবে ছুটে এসেছেন তাতে সত্যিই আমরা ভরসা পাচ্ছি। ছেলেকে সবটা জানাচ্ছি। আমরাও চাই ছেলে ঘরে ফিরে আসুক।
এদিকে প্রতিবাদী লোকশিল্লী আত্মগোপনে থেকেই সমাজ মাধ্যমে পোষ্ট করে লিখেছেন,অনেকেই আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, ভরসা পাচ্ছি। আপাতত শুধু এটুকু বলছি আরো প্রতিবাদী গান গাইবো। আমার কন্ঠ রোধ করার হতে হুমকির কাছে মাথা নত করবো না।
এদিন অম্বিকেশ মহাপাত্র শিল্পীর বাড়ি থেকে ফিরে যাবার সময় গণশক্তির সাংবাদিককে বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল প্রতিবাদী শিল্পীদের ভয় পাচ্ছে। তাই পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে ফেসবুক থেকে ওই গান ডিলিট করার চাপ দিচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর দলের লোকেরা শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা এবং পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের লোকেদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ফের যদি ওই প্রতিবাদী শিল্পীকে পোষ্ট ডিলিট করতে হুমকি দিয়েছে বা দেওয়া হয় তবে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পুলিশের সাধ্য নেই সেই আন্দোলনকে ঠেকায়। এদিকে চারদিকে পুলিশ ও শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে যখন ক্ষোভ ছড়াচ্ছে তখন তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থ প্রতিম রায় ফেসবুকে পোষ্ট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন। যদিও তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গীরিন্দ্র নাথ বর্মন স্পষ্ট বলেছেন গোটা বিষয়টি পুলিশের দেখা উচিত।
Mathabhanga
প্রতিবাদী শিল্লীর বাড়িতে আক্রান্ত আমরার প্রতিনিধিরা

×
Comments :0