Joynagar

ময়নাতদন্তের ভিডিও গ্রাফি করতে হবে, দাবি সিপিআই(এম)’এর

রাজ্য

মেয়ে নিখোঁজ, অভিযোগ জানাতে গিয়ে রাতের বেলায় অসহায় অবস্থায় এক থানা থেকে আর এক থানায় ঘুরতে হলো আত্মীয় পরিজনদের। সকালে বাড়ির কাছে জলাভূমি থেকে পাওয়া গেলো দশ বছরের মেয়ের ক্ষত বিক্ষত দেহ। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটলো মহিষমারিতে। পুলিশের গাফিলতিতে সন্তানহারা হলেন এক মা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দিলেন জনতা।
শুক্রবার রাতে কোচিং থেকে আর বাড়ি ফেরা হয়নি চতুর্থ শ্রেণির মেয়েটির। পরিবারের লোকেরা মহিষমারি ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের বলা হয় কুলতলি থানায় যাওয়ার জন্য। সেখানে গেলে বলা হয় জয়নগর থানার যেতে। গোটা রাত এক থানা থেকে আর এক থানায় ঘুরতে হলো অসহায় বাবা মাকে। সকালে পেলেন মেয়ের নিথর দেহ।
সকালের এই ঘটনা সামনে আসার পর দফায় দফায় উত্তেতিত হয়েছে এই গ্রাম। পুলিশকে লক্ষ করে চলেছে ইঁট। পাল্টা গ্রামবাসীদের লাঠি পেটা করেছে পুলিশ। আহত হয়েছেন অনেকে। গ্রামবাসীদের দাবি পুলিশ যদি প্রথমেই অভিযোগ নিত এবং খোঁজ করতো তাহলে আজ এই দিন দেখতে হতো না। একই কথা নাবালিকার পরিবারেরও।
সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগান জেলা সম্পাদক রতন বাগচী জানিয়েছেন যে, ‘‘দেহ হাসপাতালে আছে। আমাদের দাবি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ময়নাতদন্ত করতে হবে এবং ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।’’
সিপিআই(এম) নেতৃত্বের কথায় দীর্ঘদিন ধরে মহিষমারি এলাকায় শাসক দল ঘনিষ্ট দুষ্কৃতিদের দাটপ চলছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কুলতলির বিধায়ক গনেশ মণ্ডল এই ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মানুষে ক্ষোভের কাছে তিনি টিকতে পারেননি। বিধায়ককে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। জয়নগরের সাংসদ প্রতীমা মণ্ডল সেখানে গেলে তাকে ঘিরে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। 
অন্য দিকে জয়নগরের মহিষমারি যাচ্ছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ বোস সহ রাজ্য যুব ও মহিলা নেতৃত্ব।

Comments :0

Login to leave a comment