এখনই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোন হস্তক্ষেপ করবে না কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের ওবিসি সম্প্রদায়ের গননা প্রক্রিয়া নিয়ে হাই কোর্টে দারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই কোন হস্তক্ষেপ করবে না হাই কোর্ট।
শুভেন্দু দাবি করেছিলেন যে ২০১১ সালে তফশিলি জাতি এবং উপজাতির গননা করা হলেও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিত গননা হয়নি। যার ভিত্তিতে আসন সংরক্ষন করা হচ্ছে পঞ্চায়েতে। এছাড়া পঞ্চায়েতে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েও আদালতের দারস্থ হয়েছে শুভেন্দু।
উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারির এই মামলা দায়ের করার বিষয় নিয়ে অনেক আগেই বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করেছিলেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল বিজেপি নিজেদের মধ্যে বোঝা পড়া করে মামলা করছে। তারা আসলে নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। গ্রামের মানুষ দুই দলের ওপর ক্ষেপে আছে। সুভেন্দু মমতা জানে ভোট হলে তারা হেরে যাবে। আর তাই মামলা করে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে।’’
গত বছরের মাঝামাঝি ‘নজরে পঞ্চায়েত’ কর্মসূচি চালু করে রাজ্য সিপিআই(এম)। টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে গ্রামের মানুষ গ্রামে গ্রামে তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। যদিও অভিযোগ কারির পরিচয় গোপনে রাখা হয়েছে সব ক্ষেত্রেই। আবাস যোজনা নিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে চাপে রেখেছে শাসক দলকে। মানুষের ক্ষোভকে আঁচ করতে পেরে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি চালু করে তৃণমূল। সেখানেও ধাক্কা খায় রাজ্যের শাসক দল। গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের নেতা কর্মীদের। সাংসদদেরও পড়তে হয়েছে বিক্ষোভের মুখে।
Comments :0