শ্রুতিনাথ প্রহরাজ
নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি’র নির্বাচনী ইশ্তেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে দু’কোটি বেকারির চাকরি। বাস্তবে দেখা গেল গতবছরগুলিতে কর্মসংস্থানের হার গড়ে প্রতিবছর ০.২ থেকে ০.৯ শতাংশ হারে কমেছে। একই সময়ে কর্মসংস্থানের যোগ্য ও প্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠিত ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অন্যান্য ক্ষেত্রের চিত্র আরও ভয়াবহ। শুধু উৎপাদনশিল্পেই আলোচ্য সময় প্রায় আড়াই কোটি মানুষ কাজ হারিয়ে বেকারির খাতায় নাম লিখিয়েছেন যা এই শিল্পে কর্মরত মানুষের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। ১৬ থেকে ৬৪ বছর পর্যন্ত বয়সের কাজে যুক্ত বা কাজের প্রত্যাশী মানুষের হার (এলএফপিআর) ৩৭ শতাংশে নেমে এসেছে যা উদ্বেগজনক। গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি বা ফ্রান্সে এই হার ৭০ শতাংশের ওপরে। অস্ট্রেলিয়া কানাডা জাপান বা রাশিয়ার মতো দেশে এই হার ৬০ শতাংশের বেশি। শুধু জি-টুয়েন্টি দেশসমূহের গোষ্ঠী সভাপতি হয়ে ঢাক ঢোল পিটিয়ে মাতব্বরি করে তো লাভ নেই, প্রয়োজন এই বিষয়গুলির বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা। ওই দেশগুলি পারলে আমরা পারছি না কেন?
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন রিপোর্ট (ইউএনসিটিএনডি) দেখাচ্ছে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৮.২শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ৫.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। তাদের মতে ২০২৩-২৪ সালে এই হার আরও কমে ৪.৭ শতাংশ হতে পারে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান বেকারি ইত্যাদি মূল কারণ হিসাবে এই রিপোর্টে চিহ্নিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে এই সময়ে সারা দেশে কয়েক লক্ষ ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেছে যেখানে একটি বড় অংশের কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল। এর ফলস্বরূপ, এই সেক্টরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় চার কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সরকারি উদাসীনতাই এই সঙ্কটের প্রধান কারণ। কোভিড অতিমারীর সময় ঢাক ঢোল পিটিয়ে এই ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলি বাঁচিয়ে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে অর্থনৈতিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছিলেন তার বিন্দুমাত্র সুবিধাও এই উদ্যোগগুলি পায়নি। সরকারি সদিচ্ছার অভাবে বড় শিল্পে এমনকি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পেও (যারা মূলত এদের পণ্য ক্রয় করে) পড়ে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকার বকেয়া উদ্ধার করা সম্ভব হলো না। ব্যাঙ্ক থেকে যে ঋণ দেওয়ার কথা এই প্যাকেজে ঘোষণা করা হয়েছিল, তা নেওয়ার ক্ষমতাও এই ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলির ছিল না। একদিকে বাজার নেই উৎপাদন বন্ধ, অন্যদিকে মূলধনের সঙ্কট— এই দুইয়ের জাঁতাকলে পড়ে বন্ধ হয়ে গেল ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলির বড় অংশ। গত তিন-চার বছরে কয়েক লক্ষ ছোট ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ কাজ হারিযেছেন। শুধু মহারাষ্ট্রেই এধরনের কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা ৩০ লক্ষেরও বেশি। এই সময়ে শ্রম আইন সংশোধনের নামে লেবার কোড চালু করার মধ্য দিয়ে এ ধরনের উদ্যোগের মালিকদের হাতে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধ করে দেবার একতরফা আইনি ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়। ফলে নতুন নিয়োগ তো হলোই না উলটে কাজ হারালেন বহু মানুষ। এই সংখ্যা আগামীদিনে আরও বাড়বে সন্দেহ নেই।
নভেম্বরে প্রকাশিত সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনোমির (সিএমআই ই) সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে ভারতের বেকারির হার গত নভেম্বর মাসে ৮ শতাংশে পৌঁছেছে যা অক্টোবরে ছিল ৭.৮ শতাংশ। গত এক বছরে বেকারির গড় হার ছিল ৭.৪ শতাংশ যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। কোভিড অতিমারীর সময় এই হার ছিল প্রায় ২২ শতাংশ। স্বাধীন ভারতে এ এক রেকর্ড বলা যেতে পারে। একদিকে আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির ঠেলায় উৎপাদন ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ায় নতুন কলকারখানা গড়ে উঠছে না। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্র ক্রমে সঙ্কুচিত হয়েছে, হবেও আগামী দিনে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে স্থায়ী নিযুক্তি বন্ধ থাকায় শূন্য পদের সংখ্যা বাড়ছে। অপরদিকে আর্থিক মন্দার জেরে, যাঁদের কাজ ছিল তাঁরাও কাজ হারাচ্ছেন— বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। স্বল্প মজুরির অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। কোভিডের সঙ্কট মিটে গেলেও বেকারি ও কাজ হারানো মানুষের সঙ্কট মিটছে না বরং বাড়ছে।
শুধু ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই চলছে। ভারতীয় রেল তার বর্তমান কর্মী সংখ্যা পঞ্চাশ শতাংশে নামিয়ে আনতে চলেছে। অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্তশিল্পেও প্রায় একই হাল। সরকারি আধা সরকারি দপ্তরগুলিতে নিয়োগ হয় বন্ধ নতুবা কমছে। তথ্য প্রযুক্তি ও পরিষেবা শিল্পে ছাঁটাই কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। ভারতের ৫২টি স্টার্ট-আপ সংস্থায় সাম্প্রতিককালে প্রায় ১৮ হাজার কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাইজু'স, চার্জবি, কার’স২৪, লিড, মেশো, ওলা, এমপিএল, ইনোভেসার, উডান, আনএকাডেমি, ভেদান্তু প্রমুখ সংস্থাগুলি। এর মধ্যে ১৫ টি ই-লার্নিং কোম্পানিতে ৭৮৬৮ জন কর্মীকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বছরে পাঁচটি ই-লার্নিং কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ গেছে প্রায় তিন হাজার কর্মীর। শুইজি জোমাটোর মতো খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলিও কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে।
শুধু এ দেশে নয়, দুনিয়াজুড়ে কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। মাইক্রোসফ্ট, ফেসবুক, আমাজন প্রভৃতি যেসব সংস্থায় কাজ করার জন্য লেখাপড়া জানা ছেলেমেয়েরা স্বপ্ন দেখত, সেই কোম্পানিগুলিতেও অতি সম্প্রতি বিরাট সংখ্যক কর্মীকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যা প ইত্যাদি সংস্থাগুলির মালিক মার্ক জুকেরবার্গ পরিচালনাধীন মেটা কোম্পানি ১১ হাজার কর্মীকে বসিয়ে দিয়েছে যা তার মোট কর্মচারীর ১৩ শতাংশ। দুনিয়ার চতুর্থ ধনী ব্যক্তি জেফ বেজসের মালিকানাধীন আমাজন কোম্পানি ১০০০০ কর্মীকে বসিয়ে দিয়েছে যা তার মোট কর্মচারীর ৩ শতাংশ। দুনিয়ার পয়লা নম্বর ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা নেওয়ার পরেই ৩৭০০ কর্মীকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় কুড়িজন পদস্থ আধিকারিককে ছাঁটাই করেছে। ভারতে ও ভারতের বাইরে এই সংস্থাগুলিতে কর্মরত বেশ কিছু ভারতীয় এই ছাঁটাই-এর শিকার। জিম ফারলের পরিচালনাধীন ফোর্ড কোম্পানি ৩৫৮০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। বিল গেটস-এর মালিকানাধীন মাইক্রোসফট কোম্পানিতে কাজ হারানো কর্মীর সংখ্যা ৩০০০ জন যার মধ্যে বেশ কিছু ভারতীয়ও আছেন। বাইজু রবীন্দ্রনের মালিকানাধীন বাইজু’স কোম্পানি এরমধ্যে ২৫০০ কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে। বিনকিট কোম্পানি ১৬০০ জন ও ইউনিলিভার কোম্পানি দেড় হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে।
তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ হারানো এইসব ছেলেমেয়েরা আগের মতো চাইলেই অন্য আরেকটি সংস্থায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। যদিবা কোনও সংস্থা নেয়, সেখানে স্থায়ী নিয়োগের জায়গায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হচ্ছে বেশি। অর্থাৎ চাকরি বেতন কোনও কিছুরই নিরাপত্তা থাকছে না আর। ছাঁটাই হয়ে যাওয়া ও মজুত প্রযুক্তিগত দক্ষতা লব্ধ কর্মীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায়, কর্পোরেট মালিকরা দরকষাকষির সুবিধা পুরোদস্তুর ভোগ করছে।
গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের একটা বড় সুযোগ ছিল ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প যা বিজেপি সরকারের আমলে মুখ থুবড়ে পড়েছে । ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে কেন্দ্রীয় বাজেটে এনআরইজিএ প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে কমেছে। অনেক ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থটুকও রাজ্যগুলি সময়মতো পাচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজ চাওয়ার মানুষ এবং পাওয়ার মানুষের ফারাক দিন দিন বাড়ছে যা গ্রামীণ ভারতে দারিদ্র ও বৈষম্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বর্তমান বছরে কেন্দ্রীয় বাজেটে এই খাতে ৭৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যা গতবছরের বাজেট বরাদ্দের তুলনায় ২৫.৫১ শতাংশ কম। এখন পর্যন্ত এর থেকে ৫৪৬৫০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, বাকিটা বকেয়া— কবে মিলবে বা আদৌ মিলবে কিনা জানা নেই। রাজ্য এবং কেন্দ্রের পারস্পরিক দায় এড়ানোর খেলায় ভোগান্তি বাড়ছে গরিব মানুষের। বারংবার দাবি করা সত্ত্বেও মূল্যবদ্ধির তুলনায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরির হার বাড়েনি। কেন্দ্রীয় সরকার একবারই এই হার ৫% বৃদ্ধির কথা বলে যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার সেই সিদ্ধান্ত দীর্ঘদিন কার্যকর করেনি অথচ বাম আমলে সারাদেশে এনআরইজিএ প্রকল্পে কাজের নিরিখে আয়তনের তুলনায় ত্রিপুরা ছিল সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে। আজ সেখানকার গরিব মানুষ অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
সরকার যদি এখনও সতর্ক না হয় এই সঙ্কট বাড়বে আগামী দিনে। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশ যেখানে জনসংখ্যার চাপ অনেক বেশি, সেখানে এই সঙ্কট মহামারীর আকার নেবে । শুধু নির্বাচনে জয় লাভের জন্য বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নয, চাই পরিকল্পিত সরকারি উদ্যোগ । ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদন, পরিষেবা ও পরিকাঠামো শিল্পে সরকারি বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে যা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। সর্বোপরি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বেকার সমস্যার সমাধানে সমন্বিত সরকারি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে ও তা কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র সহ সরকারি দপ্তরগুলিতে সমস্ত শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের বন্দোবস্ত করতে হবে। গ্রামীণ ভারতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের জায়গা, যা বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে ধারাবাহিকভাবে দুর্বল হয়েছে। এই প্রকল্পকে বাঁচিয়ে তোলা, আরও শক্তিশালী করা, কর্ম দিবসকে ১০০ দিনের জায়গায় ২০০ দিন করা এবং মজুরি ন্যূনতম ৬০০ টাকা করার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণের প্রশ্নে সরকারকে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রের উন্নতি ও শিল্পের সম্প্রসারণ— এদুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করেই কর্মসংস্থানের সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দিতে হবে।
সেন্ট্রাল ভিস্টা বা রাম মন্দির প্রকল্প নয়, দেশের সামনে এখন সবচাইতে জরুরি সমস্যা হলো বেকারি, দারিদ্র, খেতে না পাওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, ফসলের লাভজনক দাম না পাওয়া অগণিত যন্ত্রণাক্লিষ্ট গরিব কৃষক, বন্ধ হয়ে যাওয়া লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সহ ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ। শিল্পপতি আদানি গোষ্ঠী বিজেপি সরকারের সৌজন্যে গত আট বছরে অজানা জগৎ থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির খেতাব লাভ করেছে। আম্বানি সহ অন্যান্য কর্পোরেট পুঁজির মালিকরা এই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আখের গোছানোর খেলায় দৌড়াচ্ছে সমান তালে। শুধু হারিয়ে যাচ্ছে দেশের অগণিত গরিব নিম্নবিত্ত মানুষ যাদের কোনও ধর্ম বা বর্ণের পরিচিতি দিয়ে আলাদা করা যায় না। অথচ আরএসএস-বিজেপি তাই চায় নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির আশায়। বিজেপি সরকার এদের সমস্যা সমাধানের কথা ভাবে না, ভাববেও না আগামী দিনে। নরেন্দ্র মোদীর প্রচার সর্বস্ব চটকদারী রাজনীতির অসারতা ও তঞ্চকতা মানুষ বুঝতে পারছেন। তাই, এই সরকারটারই বদল জরুরি। বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও।
Comments :0