‘‘তৃণমুলের বিধায়কের বাড়ি থেকে বেহিসাবি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক।’’ বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের সাংবাদিকদের একথা বললেন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি নগদ বেহিসাবী টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দপ্তর। তাঁর অফিস বাড়ি এবং কারখানা থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অনেকবার আয়কর দপ্তরের কাছে তৃণমূল বিধায়কদের বেহিসাবী সম্পত্তির অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সময় কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’’ তাঁর অভিযোগ বিগত কয়েক বছরে বিপুল পরিমানে বেআইনি সম্পদ বেড়েছে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের। চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘‘আয়কর দপ্তরের যা কাজ তাই করেছে। এতে তৃণমূলের রাগ করার কিছু নেই।’’
বিগত কয়েকদিন ধরে কলকাতা হাই কোর্টে যেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়েও মুখ খুলেছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘আইন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার দেওয়া হচ্ছে কেন অভিষেক ব্যানার্জির শ্যালিকাকে সুরক্ষা কবচ দেওয়া হবে না। আমাদের রাজ্যে আগে এই ঘটনা ঘটেনি। গুজরাটে বিজেপি আইন ব্যবস্থার ওপর এই ধরনের চাপ তৈরি করেছিল, সেটাকে মেনে চলছে তৃণমূল।’’
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে কল্যাণপুরে ‘গ্রাম জাগাও, চোর তাড়াও পদযাত্রায় অংশ নেন সুজন চক্রবর্তী, নিরঞ্জন সিহি, পরিতোষ পট্টনায়ক সহ নেতৃবৃন্দ। সেই মিছিল থেকে আবাস যোজনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই দুর্নীতির সাথে যেই বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা সরকারকে অবিলম্বে জানাতে হবে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে তার জন্য লড়াই চলবে।
এদিনের মিছিলে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
Comments :0