GAZA ATTACK

ইজরায়েলের বোমায় ফের ৩৫ নাগরিক নিহত গাজায়

আন্তর্জাতিক

নির্বিচারে বসতি এলাকায় বোমা ফেলছে ইজরায়েল। লেবাননের পাশাপাশি প্যালেস্তাইনের গাজায় চলছে বোমাবর্ষণ। 
রবিবার গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৯৪ জন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে। 
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা একটি পরিসংখ্যান সামনে এনেছে  সেখানে দেখা যাচ্ছে আজ পর্যন্ত  প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত। যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু রয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার মানুষ। 
সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার প্রচ্ছন্ন মদতেই প্যালেস্তাইন দখলের পথে নেমেছে ইজরায়েল। লাগাতার অসামরিক ক্ষেত্র গুলিতে আক্রমণ করে মানবতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গেছে। প্রবল জ্বালানি সঙ্কট চলছে গাজায়। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে হাসপাতাল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। জ্বালানি বোঝাই ট্রাক গুলিকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আগেও এই ঘটনা বেশ কয়েকবার সামনে এসেছিলো। 
দক্ষিণ লেবাননে আক্রমণ বাড়িয়েছে ইজরায়েল সেনা। লেবাবনের রাজধানী বেইরুটে ২৪ নভেম্বর ভোর রাতে পরপর ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। এর ঠিক আগের দিন ২৩ নভেম্বর বেশ কয়েকটি বহুতল আবাসন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজ়রায়েল বায়ু সেনা। জনবসতি পূর্ণ এলাকায় হামলা চালাচ্ছে তারা।   
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সময় ড্রোনাল ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইজরায়েল প্যালেস্তাইন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রপতি পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরও বিন্দুমাত্র পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের প্রশাসন প্রকাশ্যে সামরিক মদত দিয়েছে ইজরায়েলকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও আটকেছে কয়েকদফায়। ফলে আমেরিকার যুদ্ধবিরোধী বিভিন্ন অংশ ক্ষুব্ধ ছিল এই প্রশাসনের ওপর। বিশেষ করে আরব আমেরিকার প্রধান এলাকয় ক্ষোভ বেশি ছিল। 
এই অংশের ভোট পেতে ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোটের পর যদিও তাঁকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি।

Comments :0

Login to leave a comment