SUJAYKRISHNA BHADRA VOICE SAMPLE

হাতে ‘কাকুর’ কন্ঠস্বরের রিপোর্ট, ভোটের আগে ইডি’র দাবিতে চর্চা

রাজ্য

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের রিপোর্ট কি এসেছে ইডি’র হাতে? কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল কন্ঠস্বরের নমুনা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সুজয়কৃষ্ণকে হেপাজতে নেয় ইডি। ‘কালীঘাটের কাকু’ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির সংস্থার কর্মচারী। 
কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্ট সংক্রান্ত কোনও বক্তব্য আনুষ্ঠানিক ভাবে জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। অসমর্থিত সূত্র থেকে জানানো হয়েছে যে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে মুখবন্ধ খামে পৌঁছে রিপোর্ট। ‘কালীঘাটের কাকু’-র কন্ঠস্বর ফোনের কল রেকর্ডের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। 
ইডি-কে কলকাতা হাইকোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কন্ঠস্বরের রিপোর্ট না আসার জন্য। তিন মাসের বেশি সময় লাগছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগের পিছনে বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্তে নামে হাইকোর্টের নির্দেশেই। অভিষেকের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-র অন্যতম ডিরেক্টর সুজয়কৃষ্ণ। ফলে তাঁর গ্রেপ্তারির সঙ্গে সঙ্গে এই মামলায় অভিষেক ব্যানার্জির নামও জড়িয়ে গিয়েছে। 
এর আগে সুজয়কৃষ্ণকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। ইডি’র হেপাজত থেকে দূরে রাখার সবরকম চেষ্টাই চালায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার। শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশে ইডি তাঁকে হেপাজতে নিয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালে রাখে। কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ইডি।  
ধৃতের ফোন কল রেকর্ড পরীক্ষা করে গুরুত্বপূর্ণ সুত্র মেলার দাবি জানিয়েছে ইডি। আদালতে প্রমাণ দাখিলের জন্য কন্ঠস্বর ধৃতেরই কিনা তার ফরেনসিক প্রমাণ জরুরি। 
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অভিষেককে। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় তৃণমূলের কর্মসূচিতে এদিন যান অভিষেক। অভিষেক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘বিষয়টি ইডি এবং কোর্টের। আমি এখানে কী বলব?’’ এরপর তিনি বলেন, ‘‘যার সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁকে কি ইডি গ্রেপ্তার করেছে?’’
কার সঙ্গে কথা হয়েছিল?
অভিষেক বলেন, ‘‘আমি কেন বলব। ইডি বলবে।’’ 
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মতো একাধিক মামলার তদন্ত, তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়ার কারণে, দিল্লি থেকে চেপে দিচ্ছে বিজেপি। এই মর্মে অভিযোগ তুলে সল্টলেকে কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরের কমপ্লেক্সে অভিযান করে বামপন্থীরা। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বুধবারও ফের বলেছেন যে ফরেনসিক ল্যাবরেটরি কেন্দ্রের। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে মাসের পর মাস পার হয়ে যাচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী বিজেপি’র প্রচারে এসে দুর্নীতি দমনের দাবি করে চলেছেন।’’
ফলে কন্ঠস্বর পরীক্ষা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল, চাপে রয়েছে দু’পক্ষই। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যেও তা ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ভয়েস স্যাম্পেল মিলবে সকলেরই জানা। তবে তার ওপর নির্ভর করে যদি হরিপালের কোনও ডাকুকে ধরে মানুষ আর মেনে নেবে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment