মনোনয়ন পর্বের অশান্তি নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো রাজ্য প্রশাসনকে। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, মনোনয়ন পর্বে ক্যানিং, ভাঙড়, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, বসিরহাটে যেই অশান্তি হয়েছে তাতে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বিচারপতি মান্থার এই প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনি।
হাই কোর্টের পক্ষ থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেখানে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি তাদের পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। কিন্তু তার পরেও কোন নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলে আদালেত জানিয়েছেন বিরোধী প্রার্থীরা। তারপরই আজ বিচারপতি মান্থার পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে পুলিশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিস গুলির ১৪ থেকে ১৬ জুনের সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মান্থা। এদিন মান্থা মন্তব্য করেন যে, ‘হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মনোনয়ন পর্বে নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ রাজ্য পুলিশ।’
যেই রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললো কলকাতা হাই কোর্ট সেই রাজ্য পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট পরিচালিত করতে চাইছিল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বললেও তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং কমিশন। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় মুখ পুড়েছে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালিত হবে।
Comments :0