বাগনানে বাস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে দাঁড়াল ছয়। মৃত ব্যাক্তির নাম তাপস পাত্র (৪০)। বাড়ি বাগনান থানার দুর্লভপুর পশ্চিমপাড়ায়। বুধবার রাতে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে তার মৃত্যু হয়।
গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার বাগনান থানা এলাকার ১৬নং জাতীয় সড়কের উপর যাত্রীবাহী বাসে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। আহত ২৬ হন জন। স্থানীয়দের সাহায্য পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে বাগনান গ্রামীন হাসপাতাল, উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় কিছু বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পুর্ণেন্দু ভৌমিক, শেখ হাসিবুল, কুনাল বসু ও রীতম মাঝিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয। গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ ছাত্রী সঞ্জনা মাইতি(২১)কে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত শুক্রবার ভোরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার মৃত নাম তাপস পাত্রের স্ত্রী রেখা পাত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অন্যান্য দিনের মত দুর্ঘটনার দিন
সাইকেলে চেপে ঘোড়াঘাটা ষ্টেশনে আসার পর ট্রেন ধরে বাগনান ষ্টেশনে নেমে ওই বাসে উঠেছিলেন। বাগনানে আমার বাপের বাড়ি। সেখান থেকেই আমার মা আমাকে এই দুর্ঘটনার খবর দিয়েছিলেন। তিনি বলেন স্বামীকে প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাগনানের একটি নার্সিং হোমে। সেখান থেকে উলুবেড়িয়া ইএস আই হাসপাতালে পরে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে স্থানানতরিত করা হয়। বুধবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান স্বামী কুলগাছিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। গত ১৯ জুন সকালে বাগনান শ্যামবাজর রুটের যাত্রীবাহী বাসটি ১৬ নং জাতীয় সড়কে ওঠার সময় বাগনান লাইব্রেরী মোড়ে সিগন্যাল ভেঙে একটি লরি বাসটিতে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় ৪ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরেরদিন কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে কলেজ ছাত্রী বাগনানের সাবসীট বাগুড়ের বাসিন্দা সাঞ্জনা মাইতির মৃত্যু হয়। বুধবার তাপস পাত্রের মৃত্যু হল। বাগনানে বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬।
Comments :0