ইজরায়লের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত।
নেতানিয়াহুর সহযোগী ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের নামেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত।
পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামলার জন্য গাজার সশস্ত্র প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাসের কমান্ডার মহম্মদ দিয়েফের নামেও জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
আন্তর্জাতিক জনমতকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে প্যালেস্তাইনের গাজা এবং লেবাননের রাজধানী বেইরুট সংলগ্ন অঞ্চলে বসতি এলাকায় লাগাতার বোমাবাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। বৃহস্পতিবারও দু’জায়গাতেই ফেলা হয়েছে বোমা।
গাজায় গণহত্য চালাচ্ছে ইজরায়েল। যুদ্ধ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং সমঝোতা অমান্য করে চলছে আগ্রাসন। মুখ্যত এই অভিযোগে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলা।
নভেম্বরেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে গণহত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, যা চলছে তা আর পাঁচটা যুদ্ধের মতো নয়। সামরিক বাহিনীর বদলে লক্ষ্য বানানো হয়েছে বসতি এলাকাকে। আশ্রয়হীন মানুষের শিবিরেও ফেলা হয়েছে বোমা। আন্তর্জাতিক বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য, ওষুধের মতো জরুরি ত্রাণ সরঞ্জাম। দুর্ভিক্ষে গাজার লক্ষ লক্ষ বাসিন্দাকে ভাতে মারার ব্যবস্থা করা হবেছে সশস্ত্র আগ্রাসনের পাশাপাশি।
এদিন আন্তর্জাতিক আদালতের পরোয়ানা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে। আমেরিকা বা ব্রিটেনের মতো ইজরায়েলের পশ্চিমী মদতদাতারা বরাবর যুদ্ধাপরাধ আড়ালের চেষ্টা চালিবেছে। আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ে তাদের ভূমিকা কী হয় সেদিকে নজর রাখছেন পর্যবেক্ষকরা।
গাজায় নিহত অন্তত ৪৩ হাজার নিরস্ত্র নাগরিক। তার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু এবং নারী।
Comments :0