প্রথম দু’দফায় ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর হতাশা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। নিজেদের শক্ত জমিতে ভোটদানের হার কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশ জানে ক্ষমতায় থাকার জন্য এই শ্বৈরাচারী শক্তি কতদূর যেতে পারে। ভোটদানের হারে অসঙ্গতি নিয়ে সকলেরই সরব হওয়া প্রয়োজন।
মঙ্গলবার এই মর্মে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের নেতানেত্রীদের চিঠি পাঠালে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি লিখেছেন, ‘‘একজোটে সকলের সরব হওয়া প্রয়োজন। প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে রক্ষার জন্যই তা করা দরকার।’’ নির্বাচন কমিশন আদৌ স্বাধীনভাবে কাজ করছেন কতটা, তুলেছেন সেই প্রশ্নও। ফল ঘোষণায় কারচুপির আশঙ্কাও গোপন রাখেননি কংগ্রেস সভাপতি।
প্রথম দু’দফায় ভোট হয়েছে ১৯ এবং ২৬ এপ্রিল। কিন্তু ভোটদানের চূড়ান্ত হার প্রকাশ করতে দেরি করে কমিশন। সাধারণভাবে ভোটের দিন সম্ভাব্য হার প্রকাশ করা হয়। তার দিন দুয়েকের মধ্যে সব তথ্য একত্রিত করে চূড়ান্ত ভোটদানের হার প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের দেরি নিয়ে সরব হন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও প্রশ্ন তোলেন। ১ মে, প্রথম দফায় ভোটের এগারো দিন বাদে, কমিশন চূড়ান্ত ভোটদানের হার জানায়। সাধারণভাবে ১-২ শতাংশ হার বাড়তে দেখা যায় চূড়ান্ত তথ্যে। জানানো হয় প্রথম দফায় ভোটদানের চূড়ান্ত হার ৬৬.১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৬.৭ শতাংশ। দু’ক্ষেত্রেই ২০১৯’র চেয়ে কম হলেও প্রাথমিক তথ্যের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ হার বেড়ে কমিশনের চূড়ান্ত তালিকায়। সংখ্যায় ফারাকের মাত্রা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ফের।
ইয়েচুরি কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে সংসদীয় ক্ষেত্র ভিত্তিক মোট ভোটারের সংখ্যাও প্রকাশ করতে বলেন। মোট কত ভোট পড়েছে, কেবল শতাংশ নয়, সেই সংখ্যা প্রকাশেরও দাবি ওঠে। কমিশনের ওয়েবসাইটে বরাবর এই তথ্য থাকে। এবার তা নেই কেন সেই প্রশ্নও তোলেন ইয়েচুরি। কারণ সংখ্যা চূড়ান্ত না হলে গণনার সময় হেরফের হওয়ার আশঙ্কা থাকে যথেষ্ট।
খাড়গে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের দলগুলির নেতৃবৃন্দকে লিখেছেন, ‘‘যৌথভাবে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে যাতে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। ভোটদানের হার প্রকাশ যে যে কাণ্ড ঘটেছে তাতে এই ফলাফলে কারচুপি করার আশঙ্কা থাকতে বাধ্য।’’
KHARGE LETTER 'INDIA'
ভোটের তথ্যে অসঙ্গতি, ‘ইন্ডিয়া’ নেতৃবৃন্দকে চিঠি খাড়গের
×
Comments :0