kolkata Tourist Dies

সিকিমে মৃত্যু কলকাতার পর্যটকের

কলকাতা

সিকিমে বিপর্যয়। বেড়াতে দিয়ে প্রাণ গেল কলকাতার বাসিন্দা এক মহিলা পর্যটকের। সিকিমে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এক নাগাড়ে বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত গোটা সিকিম। ইতোমধ্যেই উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলাকে বিপর্যস্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে সিকিম সরকার। গত কয়েকদিনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে একাধিক সেতু বিপর্যয় ঘটেছে সিকিমে। তিস্তা নদীতে জলস্ফীতির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে। আরো খরস্রোতা হয়ে উঠেছে তিস্তা নদী। বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে উত্তর সিকিমে লাচেন। প্রবল ধসে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারে  তৎপর ছিল সিকিম প্রশাসন। এই আবহে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল। সিকিম বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু হল কলকাতার  এক পর্যটকের। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে মৃতার নাম শ্রাবন্তী দত্ত রায়। স্বামী সুশীতল রায়ের সঙ্গে পশ্চিম সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। পেলিং থেকে কালুক যাওয়ার পথে ডেন্টামের কাছে হাই ওয়াটার গার্ডেনের সামনে আচমকা নিঃশ্বাসের কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ডেন্টাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়েই সিকিমের পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শুক্রবার এসটিএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়। ওই পর্যটকের দেহ তাঁর বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করে সিকিম প্রশাসন।
সিকিম প্রশাসনের এক আধিকারিক রাজীব রোকা সাংবাদিকদের বলেন, কলকাতার এক মহিলা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আচমকা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তাঁকে স্থানীয় ডেন্টাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সিকিম সরকার পরিবারের সবরকম সাহায্য করবে। কলকাতায় যোগাযোগ করা হয়েছে।
পর্যটকের মৃত্যু নতুন ঘটনা নয় পাহাড়ে। দার্জিলিং, সিকিম, সান্দাকফু বেড়তে গিয়ে গত এক বছরে ছয় পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন,  পর্যটকদের অধিক উচ্চতায় বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। এই ধরনের ঘটনা পর্যটনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রশাসনকেও আবেদন করব যাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটার আগে জরুরি পদক্ষেপ করা হয়।

Comments :0

Login to leave a comment