অবৈধ কারখানার আশেপাশে অন্তত ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রবিবারের বিস্ফোরণে। দত্তপুকুরে সোমবার আরেকজনের দেহ মেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। পুলিশ জানিয়েছে বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যেও একজনের অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার সকালে বিস্ফোরণের সময় কারখানায় ছিলেন ২৪-২৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি এবং নিহতের সংখ্যা মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও দেহ রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তদের একজন সফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও প্রশাসনের ভূমিকা ক্ষোভ কমছে না এলাকায়। স্থানীয়রা বলছেন, অনেক আগেই এই গ্রেপ্তারি হওয়া উচিত ছিল। এত মানুষের মৃত্যু, এত ক্ষয়ক্ষতির পর এখন গ্রেপ্তার করে হবে কী।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে ১৮৮৪’র বিস্ফোরক আইন, ২০০৮’র বিস্ফরোক বিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, রবিবার রাতে এলাকায় লোডশেডিং হওয়ায় তল্লাশি অভিযানে সমস্যা হয়েছে। এলাকা ভগ্নস্তূপে পরিণত। জঞ্জালের পাহাড় সরিয়ে তল্লাশি চালাতে বেগ পেতে হয়েছে।
এদিন উদ্ধার হয়েছে ক্ষতবিক্ষত একটি দেহ। শরীরের বিভিন্ন অংশ উড়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়ে কাছের একটি পুকুরে পড়েছে। পুলিশ আগেই জানিয়েছে যে বাজির কারখানার মালিক কেরামত আলি ও তাঁর পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা যদিও নিশ্চিত, এই কারখানায় বাজির আড়ালে বোমাই তৈরি হতো। না হলে বিস্ফোরণের এত তীব্রতা থাকত না।
সোমবার সকালেই এলাকায় যান সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি এই ঘটনাকে তৃণমূল শাসনের হলমার্ক আখ্যা দিয়েছেন। গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। বিজেপি বিধানসভায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
মে’তে এগরায় অন্তত ১২ জন নিহত হন এমনই বিস্ফোরণে। মহেশতলাতেও নিহত হন তিন জন। কিন্তু প্রশাসন বাজির আড়ালে বোমার কারখানায় লাগাম টানেনি। দত্তপুকুর ফের তা প্রমাণ করেছে।
Comments :0