SALIM on 'INDIA'

ঘৃণা রুখতে বামপন্থীরা ‘ইন্ডিয়া’-তে, ভোটে লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধেও

জাতীয়

SALIM on INDIA ছবি সংগ্রহ থেকে

ঘৃণা আর বিদ্বেষের চাষ করছে বিজেপি। দেশকে শেষ করতে চাইছে। তার বিরুদ্ধে যত বেশি সম্ভব মানুষকে একজোট করা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই বামপন্থীরা বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ জোটে শামিল। কিন্তু এই মঞ্চ নির্বাচনী জোট নয়। সাম্প্রদায়িকতার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও লড়াই চলবে। লোকসভা নির্বাচনেও বামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শক্তির বিরুদ্ধে লড়বে। 

বামপন্থীদের অবস্থান এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সোমবার পার্টির দার্জিলিঙ জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। 

এক প্রশ্নে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য সেলিমের ব্যাখ্যা, ‘‘বিজেপি সংসদকে শেষ করে দিতে চাইছে। সংসদীয় গণতন্ত্রকে শেষ করে দিতে চাইছে। সংবিধানকে শেষ করে দিতে চাইছে। সংসদের মধ্যে সাংসদকে তাঁর ধর্ম তুলে আক্রমণ করছে। তাঁকে উগ্রপন্থী বলছে। প্রধানমন্ত্রী চুপ। এই যে ঘৃণা বিদ্বেষের চাষ হচ্ছে, দলবেঁধে মারধর হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে যত বেশি সম্ভব মানুষকে একজোট করতে চাইছে বামপন্থীরা। সমবেতভাবে ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে যত বেশি মানুষ কথা বলবেন তত ভাল।’’

সেই সঙ্গে সেলিম বলেছেন, ‘‘এই লড়াই কেবল ভোটের বিষয় নয়। তাই ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চটি কোনও ভোটের জোট নয়। এটা একটা মঞ্চ। স্বাধীনতার আগেও এমন হয়েছে। প্রতিবাদের জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক জায়গায় এসেছেন বিভিন্ন চিন্তার মানুষ। সেদিন ইংরেজকে তাড়ানো লক্ষ্যকেই সামনে রেখে তাঁরা একত্রিত হয়েছিলেন। আজকে দেশ বাঁচানোর লড়াই। তার জন্য কত বেশি মানুষ এক জায়গায় বিদ্বেষ আর ঘৃণার রাজনীতির বিরোধিতা করবেন সেটিই লক্ষ্য বামপন্থীদের।’’ 

‘ইন্ডিয়া’-র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘গোটা দেশের মানুষের বিজেপি বিরোধী ঐক্যের বার্তা গিয়েছে। তাতে বিজেপি ঘাবড়ে গিয়েছে। যারা মনে করছিল ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’, মোদী থাকলেই সম্ভব, তারাই আজ ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে সে জন্য। তারাই পোস্টার ছাপাচ্ছে কংগ্রেস, সিপিআই(এম) নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর ছবি দিয়ে। যেমন মমতা বলত, বাম কংগ্রেস বিজেপি সব একজোট হয়েছে। বাস্তবে এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী সব শক্তিকে এককাট্টা করেছে।’’ 

সেলিম বলেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূল ক্রমাগত কাছাকাছি আসবে পশ্চিমবঙ্গে। কে বিজেপি কে তৃণমূল চেনা মুশকিল হয়ে গিয়েছে। বিধানসভায় একগুচ্ছ বিধায়ক রয়েছেন তাঁরা বিজেপি না তৃণমূল স্পষ্ট নয়। সব দলত্যাগী হচ্ছে। এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না। আবার হাফ ডজন সাংসদ রয়েছে তারা কোন দলে স্পষ্ট নয়। এই ঘৃণ্য রাজনীতি রুখতে হবে। তার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে।’’ 

 দেশ এবং রাজ্যের লড়াইকে ব্যাখ্যা করে সেলিম বলেন, ‘‘বামপন্থীরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে। সেই লড়াই জারি থাকবে। লোকসভার নির্বাচনেও বামপন্থীরা তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধেই লড়বে। কংগ্রেস, আইএসএফ বা অন্যান্য দল সিদ্ধান্ত নেবে তারা কোনদিকে থাকবে। আমরা চাইব বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী সব অংশ, বামপন্থী অন্য দলগুলিকেও এককাট্টা করে লড়াই চালাতে।’’

Comments :0

Login to leave a comment