রাজ্যপাল আটকে রেখেছেন ৮টি বিল। ৭ থেকে ২১ মাস পর্যন্ত বিল পড়ে রয়েছে রাজভবনে। কেরালা বিধানসভায় পাশের পরও বিল আটকে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালত সোমবার নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্যপালের সচিবকে। নোটিশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রকেও। 
কয়েকদিন আগেই তামিলনাডু ও পাঞ্জাবের রাজ্যপালদের এমনই আচরণে কড়া মনোভাব নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার জেরে তামিলনাডুর রাজ্যপাল ফের বিবেচনার জন্য ১০টি বিল ফেরত পাঠান বিধানসভায়। গত সপ্তাহেই এই ১০ বিল ফের পাশ করেছে তামিলনাডু বিধানসভা। 
রাজ্যপাল আরিঘ মহম্মদ খান একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বিল আটকে রাখায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল কেরালা সরকারও। আবেদনে বলা হয়, ‘‘রাজ্যপালের আচরণ সংবিধানের মৌলিক ভিত্তিতেই আঘাত করছে। তার মধ্যে রয়েছে আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক সুশাসনের বিষয়ও। রয়েছে রাজ্যের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর আক্রমণ এবং জনকল্যাণে বাধা দেওয়ার প্রয়াসও।’’ 
কেন্দ্রের পাঠানো রাজ্যপালরা বিরোধী পরিচালিত সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যেই এই আচরণ করছেন। বিধানসভায় পাশ বিল আটকে রাখছেন কোনও যুক্তি বা ব্যাখ্যা না দিয়ে। বিধানসভাকে পুনর্বিবেচনার জন্য বিল ফেরতও পাঠাচ্ছেন না। পর্যবেক্ষকদের মত, বিল ফেরত পাঠানোর পর বিধানসভায় ফের পাশ হলে রাজ্যপাল সই করতে কার্যত বাধ্য। 
সোমবার মামলার শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং দুই বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। কেন্দ্রের দুই শীর্ষ আইন আধিকারিক অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকেও জটিলতা কাটাতে সহায়তা করতে বলেছে বেঞ্চ। 
কেরালা সরকারের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কেকে বেণুগোপাল সওয়ালে বলেন, তাজ্যপাল নিজেও আইনসভার অংশ। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যে রাজ্যপাল এবং বিধাসভা ও বিধান পরিষদ নিয়ে আইনসভা। সংবিধানের ১৬৮ ধারায় তা স্পষ্ট। অথচ রাজ্যপাল ৮টি গুরুত্বপূর্ণ বিল ফেলে রেখেছেন ৭ থেকে ২১ মাস। 
GOVERNOR KERALA SC
বিল কেন আটকাচ্ছেন কেরালার রাজ্যপাল? নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
 
                                    
                                
                                    ×
                                    ![]() 
                                
                                                         
                                         
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
Comments :0