TurTuri Tea Garden

উৎসবের মুখে বন্ধ তুড়তুড়ি চা বাগান

রাজ্য

TurTuri Tea Garden


উৎসবের আবহে পরপর পাঁচটি চা বাগান বন্ধ হওয়ায় শ্রমিক মহল্লায় বিষাদের সুর। বুধবার বন্ধ হয়ে গেলো তুড়তুড়ি চা বাগান। বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে ৭০১ জন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার ঘোর অনিশ্চিত অন্ধকারে রয়ে গেলেন। রুটিন মেনে কাজে যোগ দিতে এদিন সকাল হতেই দলে দলে মহিলা, পুরুষ চা শ্রমিকরা আসেন। তাঁরা দেখেন কারখানার গেট বন্ধ। তালা ঝুলছে গেটে। নিমেষের খবর ছড়িয়ে পড়ে সব চা মহল্লায়। সকলে ছুটে এসে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
দু’দিন আগে মালিকপক্ষ চা শ্রমিকদের ৯ শতাংশ বোনাস দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি ছিলো ২০ শতাংশ বোনাস দিতে হবে। এই দাবিতে তাঁরা মঙ্গলবার কাজে যোগ দেননি। বুধবার মালিক পক্ষ কোনো নোটিশ না দিয়ে বাগান বন্ধ করে চলে যায়। এতে শ্রমিক অসন্তোষ আর বাড়ে। 
চা বাগান শ্রমিক এবং ইউনিয়নগুলি ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি জানিয়েছিল। গত বছর‌ও এই হারে বোনাস দেওয়া হয়। শারদ উৎসব শুরু। তরাই ও ডুয়ার্সের বেশ কিছু চা বাগানে বোনাসের দাবি আদায় করেছেন শ্রমিকরা। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সম্মতি হলেও গত কয়েকদিনে পরপর চা বাগান বন্ধ হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলি বলছে, বোনাস থেকে বঞ্চিত করার জন্যই এই কৌশল মালিকপক্ষের। 
উৎসবের মুখে শুধুমাত্র জলপাইগুড়িতে পাঁচটি চা বাগান বন্ধ হওয়ায় কাজ হারিয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক।
যদিও মালের শ্রম দপ্তরে বৈঠকের পর ক্যারন চা বাগান খুলে গিয়েছে। চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় বুধবার। স্বস্তি ফিরলো ৭১৫ জন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। বোনাসের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভকে অজুহাত করে গত ১৬ অক্টোবর মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের ক্যারন চা বাগানে ওয়ার্ক সাসপেনশন ঘোষণা করে চলে যায় কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার বন্ধ হয়ে যায় সাইলি চা বাগন। মঙ্গলবার বোনাস নির্ধারিত হয় মাল ব্লকের এই বাগানে। জানানো হয় ১৬.৫০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হবে। সোমবার জলপাইগুড়ির শ্রম কমিশনারের অফিসে এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। শারদ উৎসবের আগে বোনাস দেওয়া হবে ১৫.৫০ শতাংশ ও কালিপুজার সময় দেওয়া হবে বাকি ১ শতাংশ।  সেই সঙ্গে চা বাগান কর্তৃপক্ষ ১৩ অক্টোবরের সাসপেনশন অব ওয়ার্কস নোটিশ প্রত্যাহার করে নেয়। গত ১৭ অক্টোবর থেকে সাইলি চা বাগানের কাজকর্ম পুনরায় চালু হয়।

Comments :0

Login to leave a comment