JALPAIGURI COOPERATIVE WOMEN

দেহদানে অঙ্গীকার সমবায়ের মহিলাদের, জলপাইগুড়িতে ব্যবস্থা চালুর দাবি

জেলা

সমবায়ের আলোচনায় চলছে দেহদানের সচেতনতার প্রচার।

পঁচিশ বছর ধরে কাজ করে চলছে মহিলাদের এই সমবায় আন্দোলন। তাঁদেরই সমবায়ের কাজে যুক্ত করার ওপর জোর দিচ্ছে জলপাইগুড়ি মহিলা সমবায় ঋণদান সমিতি।
সমবায় সমিতি জোর দিচ্ছে মরণোত্তর দেহদানের প্রচারেও। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে দ্রুত দেহদানের ব্যবস্থা চালু করারও দাবি তুলছে সমবায় আন্দোলন।
সমবায় সপ্তাহ পালনে জলপাইগুড়ি শহরের ডিবিসি রোড সমবায় কার্যালয়ে মরণোত্তর দেহদান অঙ্গীকারের কর্মসূচি হয়। মঙ্গলবারই মহিলাদের স্বনির্ভরতায় সমবায়ের ভূমিকা বিষয়ে হয়েছে আলোচনাও।
সমিতির সম্পাদক মিনু ঘোষ বললেন, ‘‘মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যুক্ত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন পাড়ায়, গ্রামে পৌঁছাতে হবে। সমবায়ের মাধ্যমে মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তোলা যায়। তার অনন্য প্রয়াস আগামী দিনেও জারি থাকবে।’’ 
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবিলম্বে অ্যানাটমি বিভাগে দেহ দানের পর দেহ গ্রহণের প্রক্রিয়া চালু করার দাবি তুলছেন তিনি। সমিতির তরফে দেহ দানের জন্য ফর্ম আনতে যাওয়া হলে মেডিক্যাল কলেজ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে জানায় যে দেহ গ্রহণের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি।
আলোচনা সভায় বক্তারা জোর দিয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সমবায় আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার ওপর। আলোচনা করেন জলপাইগুড়ির সেন্টার ফর কোঅপারেটিভ ম্যানেজমেন্টের প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর কমল চৌধুরী, জেলা সমবায় ইউনিয়নের কোঅর্ডিনেটর শিশির পোড়েল, সমবায় উন্নয়ন আধিকারিক প্রাণেন্দু বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় ইউনিয়নের প্রাক্তন ডিরেক্টর তপন গুহ রায়, জলপাইগুড়ি মহিলা সমবায় ঋণদান সমিতির চেয়ারপার্সন বিষ্ণুপ্রিয়া দে, ডিরেক্টর কৃষ্ণা সেন সহ সমবায়ের আধিকারিকরা।
অনুষ্ঠানে সামাজিক সংগঠন গণদর্পণের তরফে সুমন সরকার দেহ দানের অঙ্গীকার পত্র দেহদানে ইচ্ছুক সদস্যা ও অন্যান্যদের হাতে তুলে দেন। 
সমিতির ম্যানেজার বাণী ঘোষ জানান ৫০ জন সদস্যা দেহদানে আগ্রহী। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অঙ্গীকার পত্র গণদর্পণের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Comments :0

Login to leave a comment