Delhi Heatwave

দিল্লিতে তাপপ্রবাহের কারণে মৃত ২০, অসুস্থ একাধিক, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

জাতীয়

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত কুড়ি জনের। কেবল দিল্লির তিন হাসপাতালে মৃত্যুর এই তথ্য বুঝিয়েছে কতটা মারাত্মক হয়েছে তাপপ্রবাহ। দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারতেই তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। মৃতেরা বেশিরভাগই শ্রমিক।

গত কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহে জেরবার দিল্লি। বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তীব্র গরমে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সব কেন্দ্রীয় হাসপাতালে জরুরি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।

দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে গত ২৭ মে থেকে হিট স্টোকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন। মারা গিয়েছেন ৯জন। সফদরজঙ হাসপাতালে ৯ এবং লোকনায়ক হাসপাতালে অসুস্থ ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের এক চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ২২ জন ভর্তি হয়েছিলেন। যার মধ্যে গত দুই দিনে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি যারা ভর্তি আছেন তাদের রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। তিনি জানিয়েছেন যে হিট স্ট্রোকে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা সব থেকে বেশি। উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য থেকে কাজের সন্ধানে দিল্লির সহ একাধিক রাজ্যে যান মানুষজন। সেখানে গিয়ে মূলত তাদের জোগাড়ের কাজ করতে হয়। তীব্র গরমে যার জেরে তাদের শারিরীক অবস্থা সোচনীয়। 

ডা. অজয় শুক্লার কথায়, ‘‘হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যদি সঠিক সময় হাসপাতালে না ভর্তি করা হয় তবে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া। 

চিকিৎসক শুক্লার কথায়, হিট স্ট্রোকের বিষয় সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, ‘‘কোন ব্যাক্তি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার আগে তৎক্ষনাত জল দিয়ে বা বরফ দিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। আমাদের কাছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স আছে যার সাহায্য একজন আক্রান্ত ব্যাক্তি কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।’’

দিল্লির একাধিক জায়গায় ৪৫ ডিগ্রি পার করেছে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দিল্লি সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে এখনই কোন স্বস্তির কারণ নেই। উল্টে আরও কয়েকদিক বজায় থাকবে তাপপ্রবাহ। 

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন বলছে, দুপুর ১২টা থেকে বেলা তিনটের মধ্যে রোদের মধ্যে বাইরে না বেরতে। সরাসরি রোদের মধ্যে কাজ না করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু, শ্রমিকদের, বিশেষ করে রাস্তা বা নির্মাণের মতো বিভিন্ন কাজে যুক্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের এই নিয়ম মেনে চলার মতো পরিস্থিতি কোথাও নেই। 

Comments :0

Login to leave a comment